বকেয়া আদমশুমারি কবে হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও ডিজিটাল তথ্য এবং অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তি আদমশুমারির কাজে ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ইন্ডিয়া জোটের তরফে বারবার দ্রুত আদমশুমারি করে তথ্য প্রকাশের দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের গড়িমসিতেই স্পষ্ট এই কাজ করতে তাদের অনীহা রয়েছে।

২০২২-২৩ সালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত আদমশুমারির প্রশ্নোত্তর খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং খুব দ্রুত এবারের প্রশ্নোত্তর চূড়ান্ত করা হবে। ২০২১ সালে আদমশুমারি হওয়ার কথা থাকলেও, করোনা এবং লকডাউনের কারণে তা স্থগিত করা হয়। যদিও পরে সেটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হয়। বার্ষিক রিপোর্টে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, করোনার কারণে জনগণনা স্থগিত রাখা হয়েছে একইসঙ্গে সীমানা চূড়ান্ত করার সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ জুন এবং পরে আরও বৃদ্ধি করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বার্ষিক রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, আদমশুমারির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৮৭৫৪.২৩ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। আদমশুমারি এবং তার আগের প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মানচিত্রের মাধ্যমে জনগণনা তুলে ধরার জন্য নির্দিষ্ট এবং অত্যাধুনিক সফটওয়্যার কেনা হয়েছে এবং বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তবে পরিকল্পনা সংক্রান্ত রোডম্যাপ ও প্রস্তুতির আভাস দিলেও কবে জনগণনা শুরু হবে তার কোনও সময় জানাতে পারেনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই কামদুনি মামলার রায়কে চ্যা.লেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য
