বিজেপির গো.ষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে, মুরলিধর লেনে দলীয় কর্মীদের বি.ক্ষোভে ধু.ন্ধুমার

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা বিজেপি নেতৃত্বের ছবিতে প্রকাশ্যে লাথি মারেন, থুতু ছেটান।

বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে।এবার ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে মুরলীধর সেন লেনের কার্যালয়।বৃহস্পতিবার বিজেপির মূল কার্যালয় মুরলীধর সেন লেনে বিজেপি কর্মীদের একাংশের এই বিক্ষোভ এবার সরাসরি গোষ্ঠীকোন্দলকে সামনে এনে দিল। এদিন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, অমিতাভ চক্রবর্তী-সহ রাজ্যের সমস্ত স্তরের সাংগঠনিক নেতৃত্বের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন বিক্ষুব্ধ শিবিরের নেতাকর্মীরা। এদিনের লিফলেট-এ জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, দীপক বর্মণ, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এবং প্রত্যুষ মণ্ডলকে হঠানোর দাবিও তোলা হয়৷ এমনকি, নেতাদের পাঁচতারা হোটেলে বৈঠক করা নিয়ে করা হয় তীব্র কটাক্ষ ৷

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা বিজেপি নেতৃত্বের ছবিতে প্রকাশ্যে লাথি মারেন, থুতু ছেটান। এমনকী, তারা সাফ জানিয়ে দেন যে শাস্তির খাড়া নেমে আসলেও তাদের কিছু যায় আসে না। তাদের অভিযোগ, এইসব নেতৃত্ব দিল্লির নেতাদের ভুল বুঝিয়ে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত।বাংলায় দলকে মজবুত করার কোনও ইচ্ছাই তাদের নেই। শুধুমাত্র ধান্দাবাজি এবং নিজেদের লোককে বিভিন্ন পদে বসানোর চেষ্টা। নীচুতলার কর্মীদের কোনও কথাতেই তারা কর্ণপাত করেন না।তাদের জন্যই আজ বাংলায় নির্বাচনে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়েছে।

যদিও বিজেপি নেতৃত্ব এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।এদিনের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আমার মনে হয় সবার কথা শোনা হচ্ছে না, যারা পার্টির দায়িত্বে আছেন উচিত সবার সঙ্গে কথা বলা, সবার কথা শোনা।’’

বুধবার বিজেপির সল্টলেক কার্যালয়ে বারাসতের জেলা সভাপতিকে অপসারণের দাবিতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। দলীয় কার্যালয়ের গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা থেকে শুরু করে বিষয় গড়ায় মারপিট পর্যন্ত।এদিনও পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত ছিল।

 

Previous articleছি.নতাইকারীদের বাধা দেওয়াই কাল! মালদহে সিভিক ভল্যান্টিয়ারদের উপর নেমে এল আ.ক্রমণ
Next articleইজরায়েলি বায়ুসেনাকে মো.ক্ষম জবাব হা.মাসের! আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারে ‘অপারেশন অজয়’