যা ঘটেছিল আজকের দিনে, দেখে নিন একনজরে

উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়

১৯০২ ও ১৯৯৭

উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের (১৯০২-১৯৯৭) জন্মদিন ও প্রয়াণদিবস। পর্বতপ্রেমিক, অক্লান্ত পরিব্রাজক ও বাংলা ভাষায় অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভ্রমণ কাহিনিকার। বাংলার বাঘ আশুতোষের পুত্র উমাশঙ্কর ছাত্র হিসেবেও মেধাবী ছিলেন। এন্ট্রান্স পরীক্ষায় দ্বিতীয়, আইএ-তে প্রথম, ইংরেজি অনার্স নিয়ে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশনে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। এমএ পাশ করেন চারুকলা ও প্রাচীন ভারতের ইতিহাস নিয়ে। আইন পরীক্ষায় পাশ করে কিছুদিন হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কলেজে অধ্যাপনাও করেন। অকৃতদার এই পরিব্রাজক গেরুয়া ফতুয়া আর লুঙ্গি পরে কাঁধে ঝোলা নিয়ে হিমালয়ের পথে পথে, গহন জঙ্গলে, রুক্ষ মরুভূমিতে, নৌকায় চেপে সাগরে ভ্রমণ করেছেন। ফলে রচিত হয়েছে ‘পঞ্চকেদার’, ‘জলযাত্রা’, ‘কাবেরীকাহিনি’, ‘হিমালয়ের পথে পথে’, ‘আরবসাগর তীরে’, ‘কৈলাস ও মানস সরোবর’, ‘পালামৌর জঙ্গলে’ প্রভৃতি গ্রন্থ। তৃপ্ত হয়েছে ভ্রমণপিপাসু বঙ্গজন হৃদয়, সমৃদ্ধ হয়েছে বঙ্গ সাহিত্য।

কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়

১৯২৪

কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯২৪-২০০০) এদিন বাঁকুড়ার সোনামুখীতে জন্মগ্রহণ করেন। রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী। বাবা-মায়ের দেওয়া নাম ছিল অণিমা, ডাকনাম মোহর। রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘অণিমা’ নাম বদলে রাখেন ‘কণিকা’, অবনীন্দ্রনাথ ডাকতেন ‘আকবরী মোহর’ বলে। রবীন্দ্রনাথ ও শৈলজারঞ্জন মজুমদারের সস্নেহ শিক্ষা ও সহজাত প্রতিভায় কণিকা সর্বকালের সেরা রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীদের একজন হয়ে ওঠেন। গান গেয়েছেন ‘তথাপি’, ‘নিমন্ত্রণ’ ও ‘বিগলিত করুণা জাহ্নবী যমুনা’ এই তিনটি বাংলা ছবিতেও। সংগীত নাটক অ্যাকাডেমির পুরস্কার পেয়েছেন, পেয়েছেন আলাউদ্দিন পুরস্কার। পদ্মশ্রী উপাধি লাভ করেছেন, পেয়েছেন দেশিকোত্তম সম্মানও।

কামিনী রায়

১৮৬৪

কামিনী রায় (১৮৬৪-১৯৩৩) এদিন বাংলাদেশের বাখরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। এই স্বনামধন্য কবি ভারতে প্রথম মহিলা অনার্স গ্র্যাজুয়েট। পনেরো বছর বয়সে লিখেছিলেন ‘আলো ও ছায়া’। সেই কাব্যগ্রন্থ থেকেই কবিখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্য ‘মহাশ্বেতা’, ‘পুণ্ডরীক’, ‘দীপ ও ধূপ’ ইত্যাদি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক প্রদান করে। ১৯২৬-এ মহিলাদের ভোটাধিকারের দাবিতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন।

বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়

১৯৯১

বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় (১৯১৫-১৯৯১) এদিন মারা যান। বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা। দাদা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখোপাধ্যায়। ১৯৩৪-এ কংগ্রেস ছেড়ে কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। তরুণ তুর্কি ছাত্র নেতা হিসেবে অচিরেই নামডাক হয় তাঁর। ১৯৬৭-৬৯ পশ্চিমবঙ্গ বিধান পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৬৯-এ মেদিনীপুর থেকে বিধানসভার বিধায়ক নির্বাচিত হন। অজয় মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন প্রথম যুক্তফ্রন্ট সরকারের সেচমন্ত্রী ছিলেন তিনি।

অনুশীলন সমিতি

১৯০৯

অনুশীলন সমিতি

এদিন কলকাতায় অনুশীলন সমিতিকে নিষিদ্ধ করে ব্রিটিশ সরকার। বাংলায় বিপ্লববাদের ইতিহাসে অনেক গুপ্ত সমিতি গড়ে ওঠে। এগুলির পথিকৃৎ ছিল অনুশীলন সমিতি। কলকাতা ও বাংলার বিভিন্ন স্থানে এই সমিতির শাখা স্থাপিত হয়। ঢাকায় পুলিনবিহারী দাসের নেতৃত্বে অনুশীলন সমিতির একটি শক্তিশালী শাখা গড়ে ওঠে। কলকাতায় নিষিদ্ধ ঘোষিত হলেও ঢাকায় পুলিন দাসের দল তাদের গোপন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখে। তবে ক্রমশ সরকারী দমন নীতির চাপে গুপ্ত সমিতিগুলির বৈপ্লবিক তৎপরতা স্তিমিত হয়ে পড়ে।

 

 

 

 

Previous articleBreakfast news: ব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleমহালয়ার আগেই সুখবর! কেমন থাকবে পুজোর আবহাওয়া? বড় আপডেট হাওয়া অফিসের