কারুভান্নুর কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক জা*লিয়াতিতে কাঠ*গড়ায় CPI(M)

ইডি ইতিমধ্যে এসি মইদিনের বাসভবনে একদফা তল্লা*শি অভিযান চালিয়েছে। সিপিএম বিধায়ককে দুবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি নোটিশ পাঠালেও তিনি হাজিরা দেননি বলেই অভি*যোগ।

বাংলার ভোট বাক্সে শূন্য, মানুষের জনসমর্থন হারিয়ে এখন নিজেদের পায়ের তলার জমি হারিয়েছে বাম রাজত্ব। কেরলে (Kerala)যদিও ক্ষমতায় রয়েছে লাল শিবির কিন্তু এবার সেখানেই জালিয়াতি করার অভিযোগ সিপিএমের (CPM) কমিটির বিরুদ্ধে আর তাতেই অস্বস্তি বাড়ছে শীর্ষ নেতৃত্বের । বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election)। তার প্রাক্কালে কেরলে কারুভান্নুর সার্ভিস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক জালিয়াতির (Karuvannur Service Cooperative Bank Scam) ঘটনা রাজ্যের সিপিএম নেতাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল কেরল পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তবে আপাতত এই মামলা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED)হাতে। আর তাতেই বেশ বিপাকে বাম শিবির। ইডি ইতিমধ্যে এই মামলায় প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (PMLA) ২০০২ এর অধীনে বিভিন্ন ব্যক্তির থেকে পাওয়া প্রায় ৫৭.৭৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।

শনিবার প্রকাশিত একটি অন্তর্বর্তী রিপোর্টে ইডির তরফে বলা হয় যে, অবৈধ ঋণ বিতরণ নিয়ন্ত্রণ করতে সিপিআই(এম)-এর এক কমিটির নাম উঠে এসেছে। ইডির রিপোর্টে কারুভান্নুর সার্ভিস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ব্যবস্থাপক বিজু করিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে সিপিআই(এম) এর একটি বিশেষ কমিটি কোনও পর্যাপ্ত মডগেজ ছাড়াই অবৈধ ঋণ বিতরণ করত। এই সিদ্ধান্ত যে বিশাল ঋণ কেলেঙ্কারির ইঙ্গিত করে সেটা স্পষ্ট। কেন্দ্রীয় সংস্থা আইপিসির ৪২০ ধারার অধীনে কেরালা পুলিশ দ্বারা নথিভুক্ত একটি এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল। কেরালা পুলিশের অপরাধ দমন শাখা ২০২১ সালে কারুভান্নুর সার্ভিস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে জালিয়াতির বিষয়ে ত্রিশুর জেলায় ১৬ টিরও বেশি এফআইআর নথিভুক্ত করেছিল। এখনও পর্যন্ত সতীশ কুমার, কিরণ পিপি, অরবিন্দ দক্ষন এবং সি.কে. জিলসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বে আইনি ভাবে ঋণ দেওয়ার সুবিধাভোগীর তালিকায় এনারা রয়েছেন। ইডি নিশানায় রয়েছেন বাম সরকারের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী এবং বর্তমান সিপিএম বিধায়ক এ সি মইদিন । আর এই নতুন তথ্যে উদ্বিগ্ন সিপিআই(এম) এর শীর্ষস্থানীয় কর্তারা । ইডি ইতিমধ্যে এসি মইদিনের বাসভবনে একদফা তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। সিপিএম বিধায়ককে দুবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি নোটিশ পাঠালেও তিনি হাজিরা দেন নি বলেই অভিযোগ। একইভাবে, দলের প্রাক্তন বিধায়ক এম কে কান্নানকেও ইডি দু রাউন্ড জিজ্ঞাসাবাদ করেছে । কিন্তু তাঁর জবাবে কেন্দ্রীয় সংস্থা অখুশি। আর এতেই অস্বস্তি বাড়ছে বাম নেতৃত্বের।

Previous articleবে.আইনি! হেলমেট ছাড়া বাইক-বাহিনী নিয়ে জাতীয় সড়কে ‘স্টা.ন্ট’ অধীরের, তীব্র কটা.ক্ষ তৃণমূলের
Next articleজার্সি উপহার আনছেন রোনাল্ডিনহো, পুজো উদ্বোধনে জানালেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী