বে.আইনি! হেলমেট ছাড়া বাইক-বাহিনী নিয়ে জাতীয় সড়কে ‘স্টা.ন্ট’ অধীরের, তীব্র কটা.ক্ষ তৃণমূলের

অধীর চৌধুরীর নিজে তার এই আইন 'ভাঙা' কাজ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, “ওই রাস্তার সাথে আমার আবেগের সম্পর্ক রয়েছে। আমি যখন বাইক চালিয়েছিলাম তখন সেখানে কোনও ট্রাফিক পুলিশ ছিল না।

রাজ্য বা জাতীয় রাজনীতিতে গ্রহণ যোগ্যতা তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে এখন রাস্তায় ‘স্টান্ট’ দেখাচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। তাও আবার হেলমেট না পরে। তিনি একা নন, সঙ্গে রয়েছেন তাঁর অনুগামীরা। প্রায় কারও মাথায় হেলমেট নেই। এই কেরামতি দেখে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল (TMC)। দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) খোঁচা দিয়ে বলেন, বিজেপি-র (BJP) পৃষ্টপোষকতায় সার্কাস দেখিয়েছেন অধীর চৌধুরী।

মুর্শিদাবাদের মানুষ ও জেলা প্রশাসনের দাবি মেনে বহরমপুর শহরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাস অংশের কাজ শেষ হওয়ার আগেই যানজট এড়ানোর জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ১৫ দিনের জন্য অংশটি খুলে দিয়েছে। রবিবার সকালে বাইপাসে সেই অংশ পরিদর্শনে যান অধীর চৌধুরী। বলেন, “দিল্লিতে সড়ক মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ আধিকারিকদের বহুবার অনুরোধ করে মহালয়া থেকে দুর্গাপুজো পর্যন্ত বাইপাস রাস্তাটি খুলে দিতে পেরেছি। চেষ্টা করছি রাস্তাটি যাতে কালীপুজো পর্যন্ত খোলা থাকে।“ এরপর হঠাৎই একটি বুলেট বাইকে চালিয়ে বাইপাসের বিস্তীর্ণ অংশের কাজ দেখতে বেরিয়ে পড়েন। মাথায় নেই কোনও হেলমেট। মাঝে মাঝে হাত ছেড়েও চালাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই স্ট্যান্টের ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় ওঠে।

অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন একজন সাংসদ হিসেবে কীভাবে হেলমেট ছাড়া বাইক চালালেন অধীর! প্রশ্ন তুলেছেন, একজন আইনসভার সদস্য কীভাবে আইন ভেঙে হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালালেন। অধীর চৌধুরীর নিজে তার এই আইন ‘ভাঙা’ কাজ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, “ওই রাস্তার সাথে আমার আবেগের সম্পর্ক রয়েছে। আমি যখন বাইক চালিয়েছিলাম তখন সেখানে কোনও ট্রাফিক পুলিশ ছিল না। পুলিশ যদি মনে করে আমি অন্যায় কাজ করেছি, তারা আমাকে জরিমানা করতে পারে। আমি সেই টাকা দিয়ে দেব।“

হেলমেট না পরে বাইক চালানোর জন্য ১০০০ টাকা এবং মোটর ভেহিকল আইনের ১৮৪ এবং ১৮৯ ধারা অনুসারে বিপদ্দজনকভাবে গাড়ি চালানো এবং ‘স্ট্যান্ট’ দেখানোর জন্য আরও ৫০০০ টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা হওয়ার কথা। কিন্তু শুধু টাকা থাকলেই আইন ভাঙা যাবে! এই উদাহরণ যদি একজন সাংসদ তুলে ধরেন, তাহলে সেই প্রবণতায় কী আইন ভাঙার হিড়িক পড়ে যাবে না!

তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, বিজেপি রাস্তায় করে প্রচার করতে তাঁদের দ্বারা স্পনসর্ড অধীর চৌধুরীকে সার্কাস দেখাতে বলেছে, তিনি দেখাচ্ছেন। ফাঁকা রাস্তা দেখে কম বয়সী ছেলেরা স্টান্ট দেখায়! এতে কোনও কেরামতি নেই।

 

 

 

Previous articleআলিপুরদুয়ারে শ্যু.টআউট! ম.র্মান্তিক পরিণতি হোটেলের বাউন্সারের, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
Next articleকারুভান্নুর কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক জা*লিয়াতিতে কাঠ*গড়ায় CPI(M)