ফের সং.ঘাতের পথে রাজ্যপাল! আ.টকে থাকল মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতনবৃদ্ধির বিল

বিধায়ক ও মন্ত্রীদের বেতন বাড়ানোর বিল পাশ করাতে বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেই বিল সংক্রান্ত রাজভবনে পাঠানো হলেও সেই তাতে সই করেননি রাজ্যপাল।যা নিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি হল।বস্তুত রাজ্যপালের গাজোয়ারি মনেভাবের জন্যই এমন পরিস্থিতি তৈরি হল। সোমবার বিলটি পেশও হয়েছিল। কিন্তু আলোচনা হল না। শেষ পর্যন্ত শোকপ্রস্তাব পাঠ করেই মুলতুবি হয়ে গেল অধিবেশন। অন্য দিকে, বিধানসভায় বলতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি বিধায়কেরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিলের কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ দেখালেন তাঁরা।

শাসকদল তৃণমূলের দাবি, শোকপ্রস্তাবের কারণেই বিল নিয়ে আলোচনা করা যায়নি। অন্য দিকে, বিজেপির দাবি, রাজ্যপাল ওই বিল নিয়ে আলোচনায় অনুমোদন দেননি বলেই অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হল।নিয়ম অনুয়ায়ী অন্য কোনও ধরনের বিলের ক্ষেত্রে প্রয়োজন না হলেও ফিন্যান্স বিল পেশের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। সরকারের তরফে মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাবিত বিল রাজভবনে পাঠানো হয়। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতও করেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু সোমবার এই বিল সই করে এখনও বিধানসভায় পাঠাননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

নির্ধারিত সময় রাজভবন থেকে রাজ্যপালের সই করা বিলের প্রতিলিপি বিধানসভায় এসে না পৌঁছনোয় বৈঠকে বসে বিএ কমিটি। বৈঠক শেষে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির এই সংশোধনী বিল বিধানসভায় পেশ করা হলেও সেই নিয়ে কোনও আলোচনা বা ভোটাভুটি হবে না। ফের একবার মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত ৭ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান মন্ত্রী থেকে বিধায়ক— সব স্তরেই ৪০ হাজার টাকা করে বেতন বৃদ্ধি করছে সরকার। কিন্তু রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন না বলেই জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি বলেন, ‘বিধায়কের ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি না।’ এই বিল পাশ করানোর জন্য বিশেষ অধিবেশন ডাকা হলে তাতে অংশ না নেওয়ারই সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বদল করে অধিবেশনে অংশ নিয়ে নিজেদের বিরোধিতা লিপিবদ্ধ করবে বিজেপি।

 

 

Previous articleবাকিবুরের চালকলে হা.না! ইডি আধিকারিকদের হাতে একাধিক চা.ঞ্চল্যকর তথ্য
Next articleপ্রতীক্ষার অবসান, ১২৮ বছর পর অলিম্পিক্সে ক্রিকেট