মায়ানগরীতে দেখা মিলল এক টুকরো বাংলার। এটা কোনও সিনেমার শুটিং নয়, কোনও ওয়েব সিরিজের প্লটও তৈরি হচ্ছে না। আসলে সবকিছুর নেপথ্যে রয়েছেন দেবী দশভূজা। ষষ্ঠী থেকে দশমী এই পাঁচ দিন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বাঙালি রীতি মেনে মায়ের বন্দনায় মেতে ওঠে। বাংলার মানুষের কাছে এই চেনা দৃশ্য টিনসেল টাউনে এক আলাদা আকর্ষণ তৈরি করে। তাই মুম্বইয়ে মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজোতে দেবীবন্দনার ঝলক দেখতে ভিড় জমান সেলিব্রেটি থেকে সাধারণ মানুষ। এই পুজো আসলে কাজল- রানি মুখোপাধ্যায়ের (Kajol and Rani Mukherjee) বাড়ির পুজো। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই সেলিব্রেটি পুজোর তকমা পেয়েছে এই বনেদি পুজো। ষষ্ঠীতে দেবীর আবাহন এবং কল্পারম্ভের খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখতে হাজির বাড়ির মেয়ে কাজল। এই মুহূর্তে তিনি বলিউডের ‘সিমরন’ নন, বরং দায়িত্বশীল এক কন্যা যিনি পূর্বপুরুষের শুরু করা পুজো নির্বিঘ্নে হচ্ছে কিনা তার তত্ত্বাবধানে ব্যস্ত। পুজোর বিশেষ দায়িত্বে রয়েছেন রানি মুখোপাধ্যায়ের (Rani Mukherjee) তুতো বোন শর্বাণী মুখোপাধ্যায় (Sarbani Mukherjee)। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় পুজোর আয়োজনের একেবারে অগ্রভাগে দেখা গেল তাঁকে। একদিকে পুজোর জোগাড় করছেন অন্যদিকে হাসিমুখে অতিথি আপ্যায়নেও নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন।

মুম্বইয়ে প্রবাসী বাঙালিদের কাছে ‘মুখার্জি বাড়ি’র পুজো এক অন্য আবেগ নিয়ে চলে। যেখানে প্রথম দিন থেকে পুজোয় সামিল হন বলি তারকা কাজল থেকে রানি মুখোপাধ্যায়। নিজেদের হাতে ভোগ বিতরণ করেন দুই বোন, ঠিক যেন পাশের বাড়ির মেয়ে। প্রত্যেক বারের মতো এ বছরেও সেখানে চারদিন ধরে ভোগ খাওয়ানোর আয়োজন করা হয়েছে। এক ঘরোয়া পরিবেশে সাবেকি আদলে মাতৃ প্রতিমা সকলের মনকে স্নিগ্ধতায় ভরিয়ে দেয়। ষষ্ঠীতে রানি না এলেও কাজল উপস্থিত ছিলেন পুজোর প্রতিটা কাজে। আজ সপ্তমীতে দুই তুতো বোনকে একসঙ্গে দেখার আশায় ফ্যানেরা।
