বিশ্বভারতী থেকে রবীন্দ্রনাথকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা বিজেপির, শুধুই মোদি বন্দনা

বিজেপি জমানায় আর কী কী দেখার বাকি! অনেক আগেই দেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতি বদলাতে শুরু করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। এবার খোদ বিশ্ব ভারতীতেই ব্রাত্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ফলকে শুধুই মোদি বন্দনা। সঙ্গে জ্বলজ্বল করছে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। যা দেখে নিন্দার ঝড় উঠেছে। দেশের জাতীয় সঙ্গীতের স্রষ্টা, বিশ্বকবিকে কার্যত অবহেলা ও অপমান করার গেরুয়া চক্রান্ত নিয়ে সরব শিক্ষা মহল।

রবীন্দ্রনাথের আদর্শ-শিক্ষার পথ অনুসরণ করে ১৩৫ বছর ধরে গর্বের ঐতিহ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শান্তিনিকেতন। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্বীকৃতির পর বিশ্বভারতীর হেরিটেজ ফলকে আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী ও উপাচার্যর বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহ, রবীন্দ্রভবন, কলাভবন, সংগীত ভবন, ছাতিমতলা, আশ্রম প্রাঙ্গণ সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাচে-কানাচে যে শ্বেত পাথরের ফলক বসানো হয়েছে সেখানে উল্লেখ রয়েছে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য সাইট। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে সেই ফলকেই নেই রবীন্দ্রনাথের নাম। যা। দিয়ে বেজায় চটেছেন পড়ুয়া থেজে প্রাক্তনী আশ্রমিকরাও।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কো শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব হেরিটেজ তকমা দিয়েছে। বিশ্বে এই প্রথমবার একটি চালু বিশ্ববিদ্যালয়কে ইউনেস্কো হেরিটেজ স্বীকৃতি দিয়েছে। সেই কৃতিত্ব মোদির নামে চালানোর নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও উপাচার্য।

জেনে রাখা দরকার, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কোনও উদ্বোধনী ফলক বা কোনও স্বীকৃতি ফলক বসানোর রীতি নেই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়কে গৈরিকিকরণ করতেই
সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই নামের বিজ্ঞাপনের জন্যই এই ফলক বসিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যেখানে রবীন্দ্রনাথকে
ব্রাত্য করার স্পর্ধা পর্যন্ত দেখাতে শুরু করেছেন বিজেপি পোষিত উপাচার্য। যেখানে রবীন্দ্র আদর্শটাকেই ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির এমন সস্তার প্রচার ও নোংরা রাজনীতির নিন্দার ভাষা নেই বলছেন রবীন্দ্রপ্রেমীরা।

Previous articleসুইৎজারল্যান্ড থেকে প্রেমিকাকে ডেকে এনে খু.ন! দিল্লিতে ধৃ.ত প্রেমিক
Next articleবাবার মৃ.ত্যুর ‘প্র.তিশোধ’ নিতে মা-কে খু.ন ছেলের