কল্যাণীর লুমিনাস ক্লাবের পর এবার রাজ্যপালের ‘দুর্গারত্ন’ পুরস্কার প্রত্যাখান করল কলকাতার টালা প্রত্যয়। পুরস্কারের বাছাই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেই পুজো উদ্যোক্তারা পুরস্কার নিতে অস্বীকার করে।

প্রসঙ্গত, রাজভবন থেকে এবছর শহর ও শহরতলির শ্রেষ্ঠ পুজোগুলির পুরস্কৃত করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। পুরস্কারের নাম, ‘দুর্গারত্ন’। মঙ্গলবার, বিজয়ী দশমীর দিনে শ্রেষ্ঠ পুজোর তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকায় ছিল কল্যাণী লুমিনাস ক্লাব ও কলকাতার টালা প্রত্যয়। পুরস্কার বাবদ ওই পুজো কমিটিগুলিকে রাজভবনের তরফে দেওয়া হবে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা।
কেন পুরস্কার নিতে অস্বীকার? টালা প্রত্যয়ের তরফে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘আমরা কিন্তু সসম্মানে প্রত্যাখান করছি। কলকাতার দুর্গাপুজো সমস্ত কমিটিকে নিয়ে একটি প্রতিযোগিতা করা হয়। প্রতিযোগিতা থাকলেও, আমাদের মধ্যে সেই বন্ডিংটা রয়েছে। এক্ষেত্রে কলকাতায় শুধু আমরা একটা পুরস্কার পেলাম, কোনও নিয়ম ছাড়াই। আমাদের বন্ডিংটা কোথায় ধাক্কা খাচ্ছে। এটাই একটা কারণ’।

এর আগে, সপ্তমীর দিন কল্যাণী লুমিনাস ক্লাবের পুজো পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সে দিন ধারে-কাছেও যায়নি। ‘দুর্গারত্ন’ পুরস্কার প্রত্যাখান করেছেন এই পুজোর উদ্যোক্তারাও। রাজ্যপালকে তাঁদের পরামর্শ, ‘পুরস্কারের ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের দেওয়া হোক’।
