সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) পৌঁছলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriyo Mallick) প্রাক্তন আপ্ত-সহায়ক অভিজিৎ দাস এবং বর্তমান আপ্ত-সহায়ক (Personal Assistant) অমিত দে। শুক্রবারের পর শনিবারও দুজনকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা (ED Officials)। যেহেতু জ্যোতিপ্রিয় বর্তমানে অসুস্থ তাই তাঁকে জেরা করতে পারছে না ইডি। আর সেকারণেই এই দুই আপ্ত-সহায়কদের তলব করে তদন্ত প্রক্রিয়া কিছুটা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা, এমনটাই সূত্রের খবর।

শনিবার জ্যোতিপ্রিয়র আপ্ত-সহায়ক অমিত দে সকাল এগারোটার কিছু সময় আগেই পৌঁছে যান সিজিও-তে। তাঁকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। অন্যদিকে, বেলা একটু গড়াতেই সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে পৌঁছন অভিজিৎ দাসও। যদিও, জ্যোতিপ্রিয়র বর্তমান আপ্ত-সহায়ক অমিত দে আগেই দাবি করেছেন তিনি থাকাকালীন এই সংক্রান্ত বিষয়ে কিছুই হয়নি। যা হয়েছে প্রাক্তন আপ্ত-সহায়ক অভিজিৎ দাসের সময়। তবে অমিতের কথায় ঠিক কতটা সত্যতা রয়েছে তা খতিয়ে দেখতেই শুক্রবারের পর শনিবারও দু’জনকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁদের আগের বয়ানের সঙ্গে বর্তমান বয়ান মিলিয়ে দেখা হবে। বৃহস্পতিবার সাতসকালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশির পাশাপাশি অমিতের নাগেরবাজারের তিনটি ফ্ল্যাটেও হানা দেন ইডির আধিকারিকেরা। তিনটি ফ্ল্যাটই তখন বন্ধ ছিল। পরিবারকে নিয়ে পুরী ঘুরতে যাওয়ার কারণে তিনটি ফ্ল্যাটের কোনওটিতেই ঢুকতে পারেননি কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা। শেষ পর্যন্ত তড়িঘড়ি ভুবনেশ্বর থেকে বিমান ধরে কলকাতায় ফিরে আসেন অমিত।

অন্যদিকে, শুক্রবারই ইডি আদালতে দাবি করে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্ত-সহায়ক অভিজিৎ দাসের বাড়িতে তল্লাশি চালানো সময় উদ্ধার হয় একটি মেরুন ডায়রি। যে ডায়রি ঘিরে জল্পনা বাড়ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন এবং কখন কে কত টাকা দিয়েছে সেই সব লেখা আছে। তাই পুরো বিষয়টি শনিবার খতিয়ে দেখা হবে বলেই দুজনকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি।
