যা ঘটেছিল আজকের দিনে, দেখে নিন একনজরে

১৮৫৩ প্রমথনাথ মিত্র

(১৮৫৩-১৯১০) এদিন উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতে বিপ্লবী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। বিলেত থেকে ব্যারিস্টার হয়ে ফিরলে পাড়াপড়শিরা তাঁর বাবা, ইঞ্জিনিয়ার বিপ্রদাস মিত্রকে প্রায়শ্চিত্ত করতে বলেন। বিপ্রদাস তাতে রাজি না হয়ে কলকাতায় এসে খ্রিস্টান হন। কিন্তু প্রমথনাথ ছিলেন গোঁড়া হিন্দু। ইংল্যান্ডে পড়ার সময়েই আয়ারল্যান্ড ও রাশিয়ার বিপ্লব আন্দোলনের বিষয়ে অবগত হন। ১৯০২-তে অনুশীলন সমিতি প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি তার ডিরেক্টর হন। তিনি বাঙালিদের ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীরচর্চার ওপর জোর দিতেন। যোগী নামে একটি উপন্যাস লেখেন। এ-ছাড়া অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ‘তর্কতত্ত্ব’, ‘জাতি ও ধর্ম’ ইত্যাদি।

১৮৮৭ সুকুমার রায়

(১৮৮৭–১৯২৩) এদিন অধুনা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার মসুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। খেয়াল-রসের স্রষ্টা সুকুমার অল্পবয়সেই মুখে মুখে মজার ছড়া বানাতেন। ছবি আঁকার সঙ্গে সঙ্গে ফটোগ্রাফির চর্চাও শুরু করেন তিনি। তাঁরই উদ্যোগে তৈরি হয় ‘ননসেন্স ক্লাব’। সেই ক্লাবের মুখপত্র ‘সাড়ে-বত্রিশ-ভাজা’। স্বল্পজীবনে বিভিন্নরকম লেখায় ও রেখায় বাংলার শিশুচিত্ত জয় করে নিয়েছিলেন। তাঁর কবিতা, নাটক, গল্প, এই তিনটি ক্ষেত্রেই উচ্ছল কৌতুকরসের সঙ্গে সূক্ষ্ম ব্যঙ্গাত্মক সমাজচেতনার অপূর্ব সংমিশ্রণ লক্ষ করা যায়। তাঁর লেখা কাব্যগ্রন্থ ‘আবোল তাবোল’ ও ‘খাই খাই’। ‘অবাক জলপান’, ‘ঝালাপালা’, ‘লক্ষ্মণের শক্তিশেল’-সহ সাতটি নাটক লিখেছিলেন। ‘হ-য-ব-র-ল’, ‘পাগলা দাশু’, ‘বহুরূপী’ তাঁর গল্পসংগ্রহ। এ-ছাড়াও তাঁর লেখা বহু কবিতা, প্রবন্ধ ও ছবি নানা পত্রপত্রিকায় নানাভাবে ছড়িয়ে আছে।

১৯৬০ দিয়াগো আর্মান্দো মারাদোনা

(১৯৬০-২০২০) এদিন আর্জেন্টিনায় জন্মগ্রহণ করেন। নায়ক, ফুটবলের ব্যাড বয়, হ্যান্ড অফ গড, সব বিতর্ক পেরিয়ে মারাদোনা শুধুই এক কিংবদন্তি, ফুটবলের রাজপুত্র। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই দক্ষিণ আমেরিকার সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন। দরিদ্র পরিবারের সন্তান। আট ভাইবোনের মধ্যে পঞ্চম। মাত্র ১৬ বছর ১২ দিন বয়সে নীল জার্সি পরে আর্জেন্টিনার জাতীয় দলে জায়গা পান। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৭৮-এ যুব বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। তবে ১৯৮৬-তে কার্যত একার কৃতিত্বে মেক্সিকোতে বিশ্বকাপ জেতান দেশকে। চার বছর পর ফাইনালে তুলেও দেশকে কাপ জেতাতে পারেননি। পেলের যেমন ছিল কসমস, তেমনই মারাদোনার নাপোলি। ইতালিতেই তিনি ক্লাব জীবনের সেরা ফুটবল খেলেন। কলকাতায় এসেছিলেন। তাঁকে ঘিরে জনতার আবেগ দেখে তাঁর মনে পড়ে গিয়েছিল ১৯৮৬-’৮৭ সালে তাঁকে নিয়ে নাপোলির রাতের উন্মাদনার কথা। বেহিসাবি জীবনযাপনের জন্যই বিশ্বের তাবড় ডিফেন্ডারদের হারিয়েও বিতর্কের বলয় থেকে কখনও নিষ্কৃতি পাননি।

১৯০১ সুধীন্দ্রনাথ দত্ত

(১৯০১-১৯৬০) এদিন কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। রবীন্দ্রযুগে রবীন্দ্র-প্রভাবমুক্ত অন্যতম বিশিষ্ট বিদগ্ধ কবি। ফরাসি ও জার্মান ভাষাতেও তাঁর দখল ছিল। ইংরেজিতে এমএ পাশ করেছিলেন। ১৯৫৪-’৬০ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ ‘তন্বী’, ‘অর্কেস্ট্রা, ‘ক্রন্দসী’, ‘সংবর্ত’ ইত্যাদি। প্রবন্ধগ্রন্থ ‘স্বগত’, ‘কুলায় ও কালপুরুষ’ প্রভৃতি।

১৯০৯ হোমি জাহাঙ্গির ভাষা

(১৯০৯-১৯৬৫) এদিন মুম্বইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতের নিউক্লীয় প্রকল্পের জনক। টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ এবং ট্রম্বের অ্যাটমিক এনার্জি এস্টাবলিশমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা ডিরেক্টর, ট্রম্বের সংস্থাটির বর্তমান নাম ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার। পেয়েছেন অ্যাডামস প্রাইজ ও পদ্মভূষণ উপাধি। একাধিকবার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারের জন্যও মনোনীত হন।

১৯৮৮ তরুণ রায় ওরফে ধনঞ্জয় বৈরাগী

(১৯২৭-১৯৮৮) এদিন প্রয়াত হন। বিশিষ্ট নাট্যকার, সাহিত্যিক, মঞ্চাভিনেতা ও নাট্যনির্দেশক। সারা ভারতের নাট্যদলকে নিয়ে তিনিই প্রথম একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা সংগঠিত করেন। রচিত উল্লেখযোগ্য নাটক ‘কেঁচো খুঁড়তে সাপ’, ‘অঘটন আজও ঘটে’, ‘নুনের পুতুল সাগরে’, ‘রেসকোর্স’ ইত্যাদি।

 

 

 

 

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ: Breakfast news
Next articleToday’s market price: আজকের বাজার দর