বর্তমানে হাজার হাজার শিশুর কবরস্থানে পরিণত হয়েছে গাজা (Gaza Strip)। সময় যত গড়াচ্ছে ক্রমশই ভয়াবহ হচ্ছে ইজরায়েল-হামাসের (Israel Hamas) রক্তক্ষয়ী লড়াই। এমনকি জঙ্গি সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে শিশুদের মুণ্ডচ্ছেদের অভিযোগও সামনে এসেছে। সেই শিশুদের (Child) পরিবারের চোখের জলে ভিজেছে ইজরায়েলের মাটি। ঘটনার সূত্রপাত গত ৭ অক্টোবর। ওই দিন হামাসের হাতে প্রাণ যায় ১৪০০ জন ইজরায়েলি সেনার। অপহরণ করা হয় ২৪০ জনকে। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই ইজরায়েলের নাগরিক। এমন পরিস্থিতিতে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েল।

এদিকে হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা গাজায় ৮,৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে ইজরায়েলের বোমা বর্ষণে। বিষয়টি নিয়ে চরম উদ্বেগপ্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘও। ইউনিসেফ সূত্রে খবর, শিশুদের জন্য গাজা ভূখণ্ড এখন ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা। তবে গাজায় যেভাবে শিশুমৃত্যু হচ্ছে, তা রীতিমতো উদ্বেগের। ইউনিসেফের রিপোর্ট বলছে, যে সংখ্যায় শিশু নিহত হয়েছে তা প্রথমে কয়েক ডজন, তারপর শতক এবং শেষ পর্যন্ত হাজারে পরিণত হয়েছে মাত্র গত ১৫ দিনের মধ্যে। ইতিমেধ্যে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ৩৪৫০ ছাড়িয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি মঙ্গলবার রাতে গাজা ভূখণ্ডের বৃহত্তম উদ্বাস্তু শিবির, জাবালিয়ায় ইজরায়েলি সেনার বিমান হামলায় মৃত্যু হয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক কর্মীর পরিবারের ১৯ সদস্যের। বুধবার আল জাজিরার প্রতিবেদনে এমনই দাবি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এদিনের হামলায় গাজায় কর্মরত এক ব্রডকাস্ট এঞ্জিনিয়ার, তাঁর বাবা, দুই বোন, ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, তাদের চার ছেলে-মেয়ে, আট বোনপো-বোনঝি, শ্যালিকা এবং এক কাকাকে হারিয়েছেন। তবে এক বিবৃতি জারি করে ইজরায়েলের কাছে জবাবদিহি করেছে আল জাজিরা।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, জাবালিয়া শিবিরে কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৫০ মানুষ আহত হয়েছেন। ১৯৪৮ সালের ইজরায়েল-আরব যুদ্ধের ফলে প্যালেস্টাইনের বহু নাগরিক ভিটে ছাড়া হয়েছিলেন। মূলত, তাঁরাই এই উদ্বাস্তু শিবিরে থাকতেন। গত দুই সপ্তাহ ধরেই ইজরায়েল সমানে গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যেতে নির্দেশ দিচ্ছে। অনেকে সেই সতর্কতা মেনে সরে গেলেও, অনুমান করা হচ্ছে বহু পরিবারই সেখানে থেকে গিয়েছে।
