“রবীন্দ্রনাথের অবজ্ঞা মেনে নেওয়া হবে না”, বিশ্বভারতী ফলক বিতর্কে মুখ খুললেন রাজ্যপাল

কবিগুরুকে এমন অবজ্ঞা নিয়ে আগেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছে।

এখনও বসানো হয়নি শান্তিনিকেতনের হেরিটেজ ফলকে নাম নেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindra Nath Tagore)। কবিগুরুকে এমন অবজ্ঞা নিয়ে আগেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের (Visva Bharati) বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছে। এবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)।

 

রাজ্যপালের কথায়, ”এমন কিছু মুল্যবোধ আছে যার সঙ্গে আপোস করা যায় না। চিরন্তন সত্য, চিরন্তন আবেগ কখনও বদলায় না। প্রত্যক ভারতীয় যাঁরা জনগনমন গান, তাঁদের হ্রদয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি আলাদা আবেগ ও সম্মান রয়েছে। সেই সম্মানের প্রতি সকলেরই যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দেশের সংস্কৃতিকে এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তাই এমন কোনও উদাহরণ তৈরি করা উচিত নয়, যেখানে গুরুদেব উপেক্ষিত হন। গুরুদেবের অবজ্ঞা মেনে নেওয়া হবে না।”

প্রসঙ্গত, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। এরপরেই ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহ, রবীন্দ্রভবন ও গৌরপ্রাঙ্গণে ৩টি শ্বেত পাথরের ফলক বসানো হয়। যেখানে আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নাম থাকলেও কোনও এক অজানা কারণে ব্রাত্য করা হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেই। যা নিয়ে উপাচার্য ও বিশ্বভারতী কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে সমালোনায় সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। রাজ্যপাল এর আগেও বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের জবাব তলব করেছিলেন।

 

Previous articleবিমান চালকদের মাউথ ওয়াশ, টুথ জেল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা DGCA-এর
Next articleকেঁ.চো খুঁড়তে সা.প বার হবে! নাম না করে শুভেন্দুকে হুঁ.শিয়ারি মমতার