নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond) বিরোধিতায় দায়ের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India) চলছে শুনানি (Hearing)। সেই শুনানির ভিত্তিতেই কেন্দ্রের তরফে শীর্ষ আদালতে দাবি করা হয়, নির্বাচনে কালো টাকা রুখতেই নাকি নির্বাচনী বন্ড আনা হয়েছে। এদিকে মোদি সরকারের (Modi Govt) তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা দেশের শীর্ষ আদালতে বলেন, নির্বাচনে কালো টাকা খরচের বহর দেশের জন্য চিন্তার বিষয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্যই চিন্তাভাবনা করে নির্বাচনী বন্ডের স্কিম আনা হয়েছিল। তবে কেন্দ্রের দাবি, এর আগে নির্বাচনে কালো টাকা রুখতে বহু উপায় চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মাধ্যমে এই বন্ডের মাধ্যমে সাদা টাকা আসছে রাজনীতিতে। এদিকে ইতিমধ্যেই সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে প্রাপ্ত অনুদানের বিশদ নথি মুখবন্ধ খামে নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রের এই দাবি একেবারেই ভিত্তিহীন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারই নির্বাচনে সবথেকে বেশি কালো টাকা ব্যবহার করে।

এর আগে সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হওয়ার আগেই কেন্দ্রের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমনি শীর্ষ আদালতকে বলেন, নির্বাচনী বন্ডের টাকা কোথা থেকে আসছে, তা জানার অধিকার আম নাগরিককে দেয়নি সংবিধান। উল্লেখ্য, এর আগে এই মামলাটি ছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চের কাছে। পরে ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ দেয়, এই মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে আমরা মনে করছি যে বৃহত্তর বেঞ্চেরই এই নিয়ে চূড়ান্ত রায় দেওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ ও অসম বিধানসভা নির্বাচেনর আগে নির্বাচনী বন্ডের বিরোধিতায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, রাজনৈতিক দলগুলির অবৈধ এবং বিদেশ থেকে এই বন্ডের মাধ্যমে টাকা পেতে পারে এবং এতে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। ২০১৮ সালে নির্বাচনী বন্ডের স্কিম আনা হয়। তার পর থেকে কোনও বাধা ছাড়াই বন্ড বিক্রি করা হচ্ছে। এই আবহে এর আগে এই বন্ড বিক্রির ওপর স্থগিতাদেশ জারি করতে চায়নি সর্বোচ্চ আদালত। এদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফে সর্বোচ্চ আদালতকে জানানো হয়েছিল, রাজনৈতিক দলগুলির হাতে নগদের অভাব থাকায় নির্বাচনী বন্ড বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কমিশনের দলের তরফ থেকে দাখিল করা খরচ সংক্রান্ত রিপোর্টে জানিয়ে দেওয়া হয়, নির্বাচনী বন্ড থেকে কত টাকা আয় হয়েছে। সেই টাকার কতটা খরচ করা হয়েছে। বাকি রয়েছে কত টাকা। কমিশনের দাবি, নির্বাচনী বন্ডে কোনও অস্বচ্ছতা নেই।
