পাকিস্তানে ভোট কবে? দিনক্ষণ ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

পাক নির্বাচন কমিশনের তরফে এদিন দেশের শীর্ষ আদালতে জানানো হয়েছে, আগামী ২৯ জানুয়ারি আসন পূনর্বিন্যসের কাজ শেষ হবে। তারপর আর নির্বাচন করতে কোনও বাধা নেই।

আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন (Pakistan Election)। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court of India) দিনক্ষণ জানিয়ে দিল সেই দেশের নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ২০২৩ সালেই পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, পড়শি দেশের লোকসভা আসনগুলির সীমানা পূনর্বিন্যাসের কাজের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়। পাক নির্বাচন কমিশনের তরফে এদিন দেশের শীর্ষ আদালতে জানানো হয়েছে, আগামী ২৯ জানুয়ারি আসন পূনর্বিন্যসের কাজ শেষ হবে। তারপর আর নির্বাচন করতে কোনও বাধা নেই।

আগে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল ২০২৪-এর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে নির্বাচন হবে। তবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই আসন পূনর্বিন্যাসের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। কিন্তু, আসন পূনর্বিন্যাসের কাজে দেরি হওয়ায় নির্বাচনের দিনও কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হল। নভেম্বরেই আসন পূনর্বিন্যাস নিয়ে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করার কথা পাক নির্বাচন কমিশনের। পাশাপাশি নির্বাচনের আগে প্রচারের জন্য ৫৪ দিন সময় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি এবং প্রাদেশিক আইনসভাগুলি ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে, এই আবেদন জানিয়ে পাক সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছিল একগুচ্ছ পিটিশন। এদিন, সেই আবেদনগুলির শুনানির সময়ই নির্বাচন কমিশন জানায় ১১ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ করা হবে। কমিশন আরও জানিয়েছে, ৫ ডিসেম্বর নতুন করে সাজানো নির্বাচনী এলাকাগুলির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। তারপর, সেই বিষয়ে সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আসন পূনর্বিন্যাস চূড়ান্ত করা হবে। তবে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে রবিবারের দিনটিকে ভোটের দিন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, শাহবাজ শরিফের দলের পরিকল্পনা অনুযায়ীই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছিল ইমরান খানের দল পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ। কিন্তু বর্তমানে তিনি জেলবন্দি। নির্বাচনে আদৌ তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। তাছাড়াও আর্থিক সংকটে কার্যত বিপর্যস্ত পাকিস্তান। তার মধ্যে নির্বাচন হলে দেশজুড়ে হিংসা ছড়াতে পারে। আর সেকারণেই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 

 

 

 

Previous article‘কালো টাকা’ আটকাতেই নির্বাচনী বন্ড! সুপ্রিম কোর্টে সাফাই মোদি সরকারের
Next articleভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম‍্যাচের টিকিট নিয়ে হাহাকার, চলছে বিক্ষোভ, মুখ খুললেন মহারাজ