Sunday, August 24, 2025

‘কালো টাকা’ আটকাতেই নির্বাচনী বন্ড! সুপ্রিম কোর্টে সাফাই মোদি সরকারের

Date:

নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bond) বিরোধিতায় দায়ের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India) চলছে শুনানি (Hearing)। সেই শুনানির ভিত্তিতেই কেন্দ্রের তরফে শীর্ষ আদালতে দাবি করা হয়, নির্বাচনে কালো টাকা রুখতেই নাকি নির্বাচনী বন্ড আনা হয়েছে। এদিকে মোদি সরকারের (Modi Govt) তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা দেশের শীর্ষ আদালতে বলেন, নির্বাচনে কালো টাকা খরচের বহর দেশের জন্য চিন্তার বিষয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্যই চিন্তাভাবনা করে নির্বাচনী বন্ডের স্কিম আনা হয়েছিল। তবে কেন্দ্রের দাবি, এর আগে নির্বাচনে কালো টাকা রুখতে বহু উপায় চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মাধ্যমে এই বন্ডের মাধ্যমে সাদা টাকা আসছে রাজনীতিতে। এদিকে ইতিমধ্যেই সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে প্রাপ্ত অনুদানের বিশদ নথি মুখবন্ধ খামে নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রের এই দাবি একেবারেই ভিত্তিহীন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারই নির্বাচনে সবথেকে বেশি কালো টাকা ব্যবহার করে।

এর আগে সাংবিধানিক বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হওয়ার আগেই কেন্দ্রের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমনি শীর্ষ আদালতকে বলেন, নির্বাচনী বন্ডের টাকা কোথা থেকে আসছে, তা জানার অধিকার আম নাগরিককে দেয়নি সংবিধান। উল্লেখ্য, এর আগে এই মামলাটি ছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চের কাছে। পরে ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ দেয়, এই মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে আমরা মনে করছি যে বৃহত্তর বেঞ্চেরই এই নিয়ে চূড়ান্ত রায় দেওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ ও অসম বিধানসভা নির্বাচেনর আগে নির্বাচনী বন্ডের বিরোধিতায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, রাজনৈতিক দলগুলির অবৈধ এবং বিদেশ থেকে এই বন্ডের মাধ্যমে টাকা পেতে পারে এবং এতে গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। ২০১৮ সালে নির্বাচনী বন্ডের স্কিম আনা হয়। তার পর থেকে কোনও বাধা ছাড়াই বন্ড বিক্রি করা হচ্ছে। এই আবহে এর আগে এই বন্ড বিক্রির ওপর স্থগিতাদেশ জারি করতে চায়নি সর্বোচ্চ আদালত। এদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফে সর্বোচ্চ আদালতকে জানানো হয়েছিল, রাজনৈতিক দলগুলির হাতে নগদের অভাব থাকায় নির্বাচনী বন্ড বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কমিশনের দলের তরফ থেকে দাখিল করা খরচ সংক্রান্ত রিপোর্টে জানিয়ে দেওয়া হয়, নির্বাচনী বন্ড থেকে কত টাকা আয় হয়েছে। সেই টাকার কতটা খরচ করা হয়েছে। বাকি রয়েছে কত টাকা। কমিশনের দাবি, নির্বাচনী বন্ডে কোনও অস্বচ্ছতা নেই।

 

 

 

Related articles

শান্তিপুরে মহিলা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ভোটে গোহারা বিজেপি! ২৬-৪-এ জয়ী তৃণমূল 

এসআইআর ইস্যু নিয়ে রাজ্যে বিজেপির মাতামাতির মধ্যে নদিয়ার শান্তিপুরে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্লাস্টার কমিটির নির্বাচনে বড় সাফল্য পেল...

DHFC-র পারফরম্যান্স নিয়ে গর্বিত অভিষেক, দিলেন শুভেচ্ছা বার্তা

ডুরান্ড অভিষেকেই সকলকে চমকে দিয়েছে ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে হয়ত তারা পারেনি নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কাছে। কিন্তু গোটা...

উড়ালপুল–সেতুর নীচে বেআইনি দখলদারি সরাতে ‘উচ্ছেদ অভিযান’! উদ্যোগী কেএমডিএ 

কলকাতার উড়ালপুল ও সেতুর নীচ থেকে বেআইনি দখলদারি সরাতে উদ্যোগী হল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। ইতিমধ্যেই চারটি...

ফের জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী, ২৬ অগাস্টে বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠক 

চলতি সপ্তাহ থেকেই ফের শুরু হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফর। আগামী মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট তিনি পৌঁছাবেন বর্ধমান।...
Exit mobile version