আকাশপথে প্র.তিরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে ভারতও তৈরি করতে চায় ‘আয়রন ডোম’

জানা গিয়েছে, ২০২৮-২৯ সালের মধ্য়ে ভারতে এই আয়রন ডোম সিস্টেম কার্যকরী হতে পারে। এটাকে রাশিয়ার এস-৪০০ ট্রিয়াম্ফ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে।

এবার ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে আয়রন ডোমের কথা বার বার শোনা যাচ্ছে। ইজরায়েলের বিভিন্ন প্রান্তে নাকি একেবারে অত্যাধুনিক রক্ষাকবচ রয়েছে।যার জেরে একাধিকবার হামাসের রকেটকে আটকে দিয়েছে ইজরায়েল। না হলে আরও ক্ষয়ক্ষতি হত। এবার ভারত আকাশপথে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে। সেই সঙ্গে দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা আয়রন ডোম ব্যবস্থাকে কার্যকরী করবে ভারত, এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। শত্রুপক্ষ যদি ভারতে কোনও সময় রকেট হানা করে, ড্রোন বা মিসাইল হানা চালায় তবে তা প্রতিহত করবে এই সুরক্ষা কবচ।

জানা গিয়েছে, ২০২৮-২৯ সালের মধ্য়ে ভারতে এই আয়রন ডোম সিস্টেম কার্যকরী হতে পারে। এটাকে রাশিয়ার এস-৪০০ ট্রিয়াম্ফ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে।

এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ঠিক কীভাবে কাজ করে?

বিরাট এলাকাকে এই সিস্টেমের মাধ্যমে রক্ষা করা সম্ভব। কোনও শত্রুপক্ষ যদি রকেট নিক্ষেপ করে তবে তা রাডারে ধরা পড়ে যায়। এরপর সেই রকেট কোন পথে আসছে সেটাও চিহ্নিত করা যায়। এরপর পালটা রকেট হানার মাধ্যমে শত্রুপক্ষের সেই রকেটকে শেষ করে দেওয়া সম্ভব। মনে করা হচ্ছে ২০২৮-২৯ সালের মধ্যে ভারত এই দূরপাল্লার রকেট প্রতিহত করার সিস্টেমকে কার্যকরী করতে পারবে। এই সিস্টেমের মাধ্য়মে শত্রুপক্ষের রকেটকে আটকে দেওয়া সম্ভব হবে।

জানা গিয়েছে, শত্রুপক্ষ রকেট, ড্রোন, মিসাইল যেটাই নিক্ষেপ করুক না কেন সেটা ভারতের এই বিশেষ সিস্টেম আটকে দেবে। শত্রুপক্ষ যদি ভারতের কোনও শহরকে টার্গেট করার চেষ্টা করে তবে সেই রকেটকে আকাশেই গুড়িয়ে দেবে ভারতের এই আয়রন ডোম সিস্টেম। একেবারে ৩৫০ কিমি পাল্লার রকেটও এক্ষেত্রে কার্যকরী হবে। এছাড়াও ১৫০ কিমি, ২৫০ কিমি দূরত্বেও রকেট হানাকে আটকে দিতে পারে এই বিশেষ সিস্টেম।

Previous articleবাদশাহের জন্মদিনেই মন্নতের সামনে চূড়ান্ত উন্মাদনা! অনুরাগীদের সামাল দিতে লা.ঠিচার্জ পুলিশের
Next articleকংগ্রেসের গা-ছাড়া মনোভাবে ইন্ডিয়ার ক্ষতি, নীতীশের মন্তব্যে জোটে আশঙ্কার মেঘ