তামিলনাড়ু এবং পাঞ্জাবের পরে এবার কেরল। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে তৃতীয় রাজ্য হিসেবে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কেরল। অভিযোগ তোলা হয়েছে কেরল বিধানসভায় পাশ হয়ে যাওয়া ৮ টি বিল অন্যায়ভাবে আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খান। গুরুত্বপূর্ণ এই বিলগুলির বেশিরভাগই জনসাধারণের স্বার্থ জড়িত।

কেরল সরকারের আবেদনে বলা হয়েছে, “এর মধ্যে তিনটি বিল দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যপালের কাছে পড়ে আছে এবং আরও তিনটি বিল এক বছরের বেশি সময় ধরে। রাজ্যপালের এহেন আচরণ সংবিধান বিরোধী এবং সাধারণ মানুষের স্বার্থ বিরোধী। আমরা চাই রাজ্যবাসীর কল্যাণের স্বার্থে আদালত এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক। আবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ২০০ অনুচ্ছেদের অধীনে, এটি রাজ্যপালের দায়িত্ব ” হয় তিনি বিলটিতে সম্মতি দিয়েছেন ঘোষণা করুক বা জানিয়ে দিক তিনি সম্মতি দিচ্ছেন না এবং রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য বিলটি সংরক্ষণ করেছেন”। কেরল সরকার আদালতকে জানিয়েছে, “রাজ্যপাল মনে করেন যে সম্মতি দেওয়া বা না দেওয়া সম্পূর্ণ রূপে তাঁর বিবেচনার বিষয়। এটা সম্পূর্ণরূপে সংবিধান বিরোধী ব্যাখ্যা।” রাজ্যপালের এহেন আচরণ প্রসঙ্গে কেরলের আইনমন্ত্রী পি রাজীব বলেন, “রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলগুলি অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখা উচিৎ নয় একথা আগেই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরও রাজ্যপালের আচরণে স্পষ্ট যে তিনি তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছেন না।”

উল্লেখ্য, শুধু কেরল নয় এর আগে এই একই অভিযোগ তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে পাঞ্জাব ও তামিলনাড়ু। এই দুই রাজ্যের তরফেও অভিযোগ তোলা হয়েছে অন্যায়ভাবে বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলগুলিকে আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল। দেশজুড়ে অবিজেপি রাজ্যগুলিতে রাজ্যপালের এহেন আচরণের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মহলের দাবি, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান নয়, রাজ্যে রাজ্যে রাজ্যপালের আচরণ পুরোপুরি বিজেপির ক্যাডারের মতো।
