ফলক বিতর্কের মাঝেই এবার কর্মক্ষেত্রে প্রাণহানির আশঙ্কা করে ফেসবুকে পোস্ট দিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) এক আধিকারিক। তাঁর এই পোস্টকে ঘিরে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan)। জানা গিয়েছে, নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় (Nilanjan Bandopadhyay) নামের ওই আধিকারিক রবীন্দ্রভবনে স্পেশাল অফিসারের উচ্চ পদে নিযুক্ত রয়েছেন।

নীলাঞ্জনবাবু সোশ্যাল মিডিয়ায় চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে লেখেন, “বৃহস্পতিবার রাতে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা দুই অধ্যাপকের ফোন আসে। তাঁরা আমাকে এক উচ্চপদস্থ কর্তার মৌখিকবার্তা জানান। অনুরোধ করেন, আমি যেন আজ, শুক্রবার আমার কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ না করি। দূরে অন্য এক বিভাগে গিয়ে আজকের দিনটা বসে থাকি। আমি এই রহস্যময়, অনৈতিক, কুরুচিকর, অপেশাদার এবং সন্দেহজনক প্রস্তাবের কোনও কারণ অথবা যুক্তি খুঁজে পাইনি। ফলে তাঁদের জানাই যে, এই মর্মে আমাকে যথাযথ মাধ্যমে কোনও লিখিত নির্দেশ না দিলে আমি আমার নিজের কাজের জায়গায় শত বাধা বা বিপদ থাকলেও ঢুকব। পাশাপাশি জানাই, আমি আজ সকাল সাড়ে ৯টায় আমার কর্মক্ষেত্রে রোজকার মতোই ঢুকব। ওখানে আমি ওই উচ্চপদস্থ কর্তা অথবা তাঁর নিযুক্ত কোনও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিবর্গের হাতে আমার প্রাণহানির আশঙ্কা করছি। শান্তিনিকেতনবাসী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-ছাত্র-কর্মীবৃন্দ এবং স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে নিরাপত্তা দেওয়া এবং এলাকার উপর নজর রাখার অনুরোধ করছি।”
বিশ্বভারতীর আধিকারিকের এই পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। শান্তিনিকেতন এলাকায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। বিশ্বভারতীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ রবীন্দ্রভবন। মিউজিয়াম সহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাসভবনগুলি রয়েছে সেখানে। ওই ভবনের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত রয়েছেন নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোষ্টের পরে তিনি উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে একটি কবিতাও পোস্ট করেন। এই বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, প্রাণহানির আশঙ্কার বিষয়টি ইতিমধ্যেই শান্তিনিকেতন থানায় জানিয়েছেন।
