ইডেন গার্ডেন্সে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ শেষে শব্দবাজির দাপটে কলকাতা মাউন্টেন পুলিশের একটিঘোড়ার মৃত্যুতে এবার নড়চড়ে বসল লালবাজার। কেন প্রাণীটির আচমকা মৃত্যু হল? সেই উত্তর খুঁজতেই এবার অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুলিশ।
আজ, বুধবার ঘোড়াটির ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট লালবাজারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাউন্টেড পুলিশকে। সেই রিপোর্ট বিশ্লেষণ করবেন কলকাতা পুলিশের পশু চিকিৎসক। তারপর তদন্ত নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও বাজি ফাটানো নিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনও মামলা রুজু করেনি লালবাজার।
লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে, বাজির বিকট শব্দে ঘোড়া ভয় পায় কেন, তা মূল্যায়ন করা হবে। ভবিষ্যতে ময়দানে কোনও ম্যাচ চলাকালীন আতসবাজি ফাটলে যাতে অবলা প্রাণীরা আতঙ্কিত হয়ে না পড়ে, তার জন্য বিশেষ ট্রেনিং দেওয়ার ভাবনাচিন্তা শুরু করছে পুলিশ।
অন্যদিকে প্রশ্ন উঠছে, ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের শেষে যে বাজি ফাটানো হয়েছে, তা কি পরিবেশবান্ধব ছিল? এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) পান্ডে সন্তোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ইডেনের বাজি পরীক্ষা করা হয়নি। সেই বাজি আদৌ পরিবেশবান্ধব ছিল কি না, সে ব্যাপারে পুলিশ নিশ্চিত নয়।