সন্ধেয় মহানগরে শব্দদৈ.ত্য নিয়ন্ত্রণে, নি.ষিদ্ধ বাজিতে ক.ড়া হুঁ.শিয়ারি পুলিশের

শব্দদৈত্যকে প্রায় বোতল বন্দি করা গেলেও দূষণের মাত্রাকে বাঁধা গেল কি? এর উত্তর পাওয়া যাবে সোমবার। তবে কালীপুজোর সন্ধে থেকে শব্দবাজির দাপট মহানগরের যথেষ্টই কম। নিষিদ্ধ বাজি ফাটালে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি কলকাতা পুলিশের (Police)।

আদালতের নির্দেশ মেনে, এবারের শুধুমাত্র পরিবেশ বান্ধব সবুজ বাজি ফাটানোর অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। তাও সন্ধে আটটা থেকে রাত দশটা মাত্র দু ঘণ্টার জন্য। তবে, চারিদিকে রং বেরংয়ের আলোর মালা জ্বলে ওঠে সন্ধে নামতেই। সঙ্গে সঙ্গেই নানা দিক থেকে চোখে পড়ছে আতসবাজির রোশনাই। খাস কলকাতায় অন্যান্য বছরের তুলনায় চকলেট বম্ব বা পটকার আওয়াজ কম শোনা যাচ্ছে।

তবে, মাঝে মধ্যেই আকাশে উড়ে যাচ্ছে উজ্জ্বল সেল। প্রকোপ কমলেও শহরের সীমানা ছাড়লেই মাঝেমধ্যেই নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে নিষিদ্ধ শব্দবাজি। সেগুলোর উৎস কী তার স্পষ্ট নয়। যদিও অতীতের কয়েক বছরের চ্যালেঞ্জকে মাথায় রেখে এ বার আলাদা করে শহরের বহুতলগুলিতে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

লালবাজার সূত্রের খবর, শনিবার রাত থেকেই চিহ্নিত কিছু বহুতলের ছাদে পুলিশ (Police) মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্র এবং শনিবার বিভিন্ন আবাসন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠকও করেছে পুলিশ। যখন-তখন বাজি না ফাটানো এবং ছাদে ওঠার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণের কথা জানানো হয়েছে তাঁদের। এলাকায় কতগুলি বসত বহুতল রয়েছে, তার তালিকা তৈরি করে সেগুলিতে বাজি ফাটানোর জন্য আলাদা জায়গা চিহ্নিত করা রয়েছে কি না, তা-ও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে থানার ওসি-দের।

কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, পুজোর দিন সকাল ৭টা থেকে ১১টা এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সাউন্ড বক্স এবং মাইক বাজানোয় ছাড় থাকবে। সোমবার ছাড় থাকবে সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত।

এছাড়া জরুরি ঘোষণার জন্য মাইক ব্যবহার করা যাবে। নিয়মভঙ্গ হলেই কলকাতা পুলিশ আইনের ৪৩ডি এবং ক্যালকাটা সাবার্বান পুলিশ আইনের ১৭ডি ধারায় মামলা করা হবে। এর পাশাপাশি, বেআইনি বাজি ব্যবহারের জন্য ধরা পড়লে বিস্ফোরক আইনে মামলা করারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং আদালত বাজি ফাটানোর যে সময় বেঁধে দিয়েছে, তার বাইরে ফাটালেও একই রকম পদক্ষেপ করার কথা বলেছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার।