সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞাকে থোড়াই কেয়ার। রাতভর দেদার আতসবাজি ফাটল রাজধানী জুড়ে। আর কালীপুজো-দেওয়ালি কাটতে না কাটতেই সোমবার সকাল থেকে তীব্র বায়ুদূষণের (Air Pollution) কবলে দিল্লি (Delhi) সহ আশপাশের এলাকা। আলোর উৎসবের পরেই অন্ধকারে মুখ ঢেকেছে রাজধানী।

দেওয়ালি উদযাপনে রাজধানীতে আতসবাজির উপর সুপ্রিম নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু তাকে উপেক্ষা করে দেওয়ালির উদযাপনে রাতভর চলে শব্দ দানবের তাণ্ডব। তর জেরে এদিন সকাল থেকেই ফের ঘোলাটে হতে শুরু করেছে পরিস্থিতি।

রবিবার দীপাবলির দিন যেখানে গত ৮ বছরে দিল্লির বাতাসের AQI ছিল ২১৮ সেখানে সব রকম নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে সারারাত আতসবাজির ফাটানোর ফলে সোমবার-
• রাজধানীর বাতাসের গুণগত মান গিয়ে পৌঁছেছে দুপুর ১২ টার মধ্যে ৩২২-এ।
• আয়ানগরে AQI ৩৮২ তে।
• সেন্ট্রাল রোড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের AQI ৩৯৩।
• পুসার রোডে AQI ৩৯১-এ।

দিল্লির কিছু এলাকায় দূষণের মাত্রা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। সেখানে AQI ৪০০ থেকে ৪৫০-এর মধ্যে পৌঁছেছে।

দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই রাতারাতি বায়ুদূষণের মাত্রা অতি খারাপ স্তরে পৌঁছানোর জন্য গেরুয়া শিবিরকে দায়ী করে বলেছেন, বিজেপি সদস্যরা লোকেদের আতসবাজির পোড়াতে প্ররোচিত করেছিলেন, যার ফলে দিল্লির (Delhi) AQI রাতারাতি ১০০ পয়েন্ট বেড়ে গিয়েছে।

প্রত্যেক বছর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর তিন মাস দিল্লির আবহাওয়ার মান বিপদজনক স্তরে চলে যায়।এই সময়টাতেই উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান-সহ আশপাশের এলাকায় হেক্টরের পর হেক্টর জমিতে ফসল কাটার পর অবশিষ্টাংশ জ্বালানো হয়। যার ধোঁয়া ঢোকে করে রাজধানীর মধ্যে। ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য ফসল জ্বালানোর ধোঁয়া বাইরে বেরোতে পারে না। ফলে ধোঁয়া আর কুয়াশা মিলে যে দমবন্ধকর ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয় তাতে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয় রাজধানীবাসীর।

এই নিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে চলেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ফসলের অবশিষ্ট অংশ না জ্বালিয়ে অন্য কোনও উপায়ে যদি তা ব্যবহার করা যায় সে নিয়ে বিস্তর আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু আজও ফলাফল আশাতীত জায়গায় পৌঁছায়নি বলেই অভিমত পরিবেশবিদদের। হু-সহ বিভিন্ন সংস্থা আগেই জানিয়েছে, চরম বায়ু দূষণের ফলে দিল্লিবাসীর গড় আয়ু ইতিমধ্যেই কমতে শুরু করেছে।
