লাগাতার বোমা হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে উত্তর গাজা। উত্তরকে মৃত্যুপুরী বানানোর পর এবার দক্ষিনে অভিযান শুরু করতে চলেছে ইজরায়েল। দক্ষিণ গাজার বাসিন্দাদের অবিলম্বে এলাকা খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ ইতিমধ্যেই আশ্রয় নিয়েছে শরণার্থী শিবিরে। আশঙ্কা করা হচ্ছে নতুন করে এবার মৃত্যুপুরী হতে চলেছে দক্ষিণ গাজা।লাগাতার বোমা হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে উত্তর গাজা। উত্তরকে মৃত্যুপুরী বানানোর পর এবার দক্ষিণে বিমান হামলা শুরু করলো ইজরায়েল। দক্ষিণ গাজার বাসিন্দাদের অবিলম্বে এলাকা খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইজরায়েলের তরফে। হাজার হাজার মানুষ ইতিমধ্যেই আশ্রয় নিয়েছে শরণার্থী শিবিরে। এদিকে দক্ষিণ গাজায় বিমান হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। আশঙ্কা করা হচ্ছে নতুন করে এবার মৃত্যুপুরী হতে চলেছে দক্ষিণ গাজা।

সিএনএন সূত্রে খবর, বুধবার ইজরায়েলের (Israel) পক্ষ থেকে দক্ষিণ গাজার সবচেয়ে বড় শহর খান ইউনিসের পূর্ব দিকে বনি শুহাইলা, খুজা, আবাসান এবং আল কারা অঞ্চলে লিফলেট ফেলা হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের অবিলম্বে এলাকা ছেড়ে দেওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। লিফলেটে বলা হয়েছে, “জঙ্গি সংগঠনগুলোর ব্যবহার করা সব বাড়িগুলোকে নিশানা করা হবে। আইডিএফ আপনাদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করবে। আপনারা শীঘ্রই এলাকা খালি করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।” দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস অত্যন্ত ঘিঞ্জি একটি শহর। ৪ লক্ষের বেশি মানুষ এখানে বসবাস করেন। শনিবার রাত থেকে এই শহরেই লাগাতার বিমান হামলা চালানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, শহরের দুটি অ্যাপার্টমেন্ট ও একাধিক বহুতলে বিমান হামলা চালায় ইজরায়েল সেনা। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের বুকে হামাসের হামলার পর যুদ্ধ ঘোষণা করে দেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। হামাসকে চিরতরে ধ্বংস করে দিতে গাজায় আক্রমণ শুরু করে ইজরায়েলি ফৌজ। সেইসময় সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাসিন্দাদের দক্ষিণে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল তেল আভিভ। প্রাণভয়ে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ আশ্রয় নেন দক্ষিণ গাজায়। তথ্য বলছে ইজরাইলের হামলায় এখনো পর্যন্ত ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে পাঁচ হাজার শিশু। উত্তরকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করার পর এবার দক্ষিণে নজর ইজরায়েলের।
