মধ্যবিত্তের বোঝা বাড়িয়ে এবার চিঠিতেও জিএসটি মোদি সরকারের!

মোদি জমানায় রেহাই নেই দেশের সাধারণ গরিব মধ্যবিত্তের। মিথ্যা প্রয়োজনীয় দ্রব্যে বেলাগাম জিএসটি চাপানোর পর এবার চিঠিতেও জিএসটি বসিয়ে দিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। আর এই জিএসটি বসানো হলো একেবারে গোপনে। গ্রাহক তো বটেই, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত আগাম জানতে পারেননি ডাক বিভাগের কর্মীরাও। ১ নভেম্বর ডাকঘরে বসে চিঠি ইস্যু করতে গিয়ে কর্মীরা জানতে পারেন—লাগু হয়েছে ১৮ শতাংশ জিএসটি। অর্থাৎ রেজিস্টার চিঠি ও পার্সেল পাঠাতে গ্রাহকদের গুনতে হবে বাড়তি টাকা। এমনকী কুরিয়ার সার্ভিসের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। অর্থাৎ আম জনতার উপর বোঝা বাড়িয়েই কেন্দ্র রাজকোষ ভরছে বলেই অভিযোগ উঠছে।

পোস্ট অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এতদিন ২০ গ্রাম ওজনের রেজিস্টার্ড চিঠি পাঠাতে ২২ টাকা খরচ হতো। এখন তাতে ১৮ শতাংশ জিএসটি যোগ হচ্ছে। অর্থাৎ, তা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকায়। ২০-৪০ গ্রাম ওজনের ক্ষেত্রে চার্জ ২৭ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩২ টাকা। ৬০ গ্রাম ওজনের রেজিস্টার্ড পোস্টের ক্ষেত্রে এতদিন ৩২ টাকা দিতে হতো। সেটা ১৮ শতাংশ জিএসটির দৌলতে এখন ৩৮ টাকা। ৫০০ গ্রাম ওজনের পার্সেল পাঠানোর জন্য ডাকঘরে ৩৬ টাকা দিতে হতো। ১ নভেম্বর থেকে তার উপরও ১৮ শতাংশ জিএসটি চাপানো হয়েছে। ফলে এখন চার্জ দিতে হচ্ছে প্রায় ৪৩ টাকা। শুধু তা-ই নয়, বুক প্যাকেট, আনরেজিস্টার্ড পার্সেল, সার্ভিস মানি অর্ডার, পোস্ট বক্স, এমনকী রেজিস্টার্ড সংবাদপত্রের মতো ২৭টি পরিষেবায় কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।

পোস্ট অফিসে এসে চিঠি পাঠাতে গিয়ে হঠাৎ এই জিএসটি বৃদ্ধির কথা জানতে পেরে খুব উগরে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। হঠাৎ এই জিএসটি লাগুর বিষয়টি না জানায় গ্রাহকদের মুখে পড়তে হয়েছে ডাক বিভাগের কর্মীদেরও। এই ঘটনায় কর্মীদের অভিযোগ, এই প্রতিযোগিতার বাজারে গ্রাহকদের পোস্ট অফিসমুখী করতে হলে পরিষেবা উন্নত করা দরকার। কিন্তু সরকার সেদিকে নজর না দিয়ে খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাতে গ্রাহকদের ঘাড়ে আর্থিক বোঝা চাপবে। এবং তারা সরকারিভাবে বাধ্যতামূলক ডাক বিভাগের পাঠানো চিঠির ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে বেসরকারি ক্ষেত্র অবলম্বন করবেন। যা কোনভাবেই ডাক বিভাগের জন্য ভালো লক্ষণ নয়।

Previous articleআল-শিফায় ইজরায়েল সেনার অভিযান, লাফিয়ে বাড়ছে রোগীমৃত্যু
Next articleকোথায় কত কেন্দ্রীয় বা.হিনী? লোকসভা নির্বাচনের আগে কমিশনকে থানা ভিত্তিক রিপোর্ট পাঠাচ্ছে নবান্ন