কোথায় কত কেন্দ্রীয় বা.হিনী? লোকসভা নির্বাচনের আগে কমিশনকে থানা ভিত্তিক রিপোর্ট পাঠাচ্ছে নবান্ন

চব্বিশে লোকসভা নির্বাচন। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাস নাগাদ লোকসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক মহলেও প্রস্তুতি তুঙ্গে। এবার আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে রাজ্যের থানা ভিত্তিক রিপোর্ট পাঠাচ্ছে নবান্ন।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ এবং ২০১৯ সাল-এই দুই লোকসভা নির্বাচনে নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ সংক্রান্ত তথ্য আগামী মাসের মধ্যেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো হবে। এই দুই নির্বাচনে কত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন হয়েছিল এবং তাদের কোথায় মোতায়েন করা হয়েছিল, বুথ সংখ্যাই বা কত ছিল, স্ট্রং রুম সংখ্যা কেমন ছিল সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য একত্রিত করছে নবান্ন। এই প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের থেকে যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে, সূত্রের খবর এমনটাই। খুব দ্রুত সেই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি এটাও জানা গিয়েছে ওই দুই নির্বাচনে কোথায় কত বেআইনি মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল সেই রিপোর্টও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আগের দুই লোকসভা নির্বাচনের আগের কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে শুরু করে ভোট সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য একত্রিত করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। শেষ বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে এসেছিল প্রায় এগারোশো কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্যে তার থেকেও বেশি সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে বলে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে। কারণ, জাতীয় নির্বাচন কমিশন ২০১৯ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সব নির্বাচনের সব তথ্য সংগ্রহ করে রেখেছে। যার ভিত্তিতেই কমিশনের এই ঈঙ্গিত। শেষ তিনবছরের উত্তেজনা প্রবন এলাকা থেকে শুরু করে সব তথ্য সংগ্রহ কমিশন।

রাজ্যে এই মুহূর্তে বুথের সংখ্যা ৮০৪৫৩টি। ইতিমধ্যেই সেই সব বুথের চিহ্নিতকরণের কাজ শেষ করে ফেলেছে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। চলছে এখন ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। চলতি মাসের শেষ দিকে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের আসার কথা আছে এই রাজ্যে এবং ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে কমিশনের ফুল বেঞ্চ আসার কথা আছে। কমিশন এখন থেকেই প্রতিনিয়ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ডঃ আরিজ আফতাবের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে ও সব রিপোর্ট তৈরী সংগ্রহ করছে।

আরও পড়ুন- মধ্যবিত্তের বোঝা বাড়িয়ে এবার চিঠিতেও জিএসটি মোদি সরকারের!

 

Previous articleমধ্যবিত্তের বোঝা বাড়িয়ে এবার চিঠিতেও জিএসটি মোদি সরকারের!
Next articleবিশ্বকাপের ফাইনালে থাকছে না তো বৃষ্টির ভ্রুকুটি, কি বলছে আবহওয়া?