পুলিশের (Police) বাজেয়াপ্ত (Seized) করা মদের বোতল চুরির অভিযোগ উঠল থানারই এক পুলিশকর্তা এবং কনস্টেবলদের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মোদিরাজ্য (Modi State) গুজরাটে (Gujrat)। অভিযোগ, থানায় বাজেয়াপ্ত করা মদ যেখানে সংরক্ষণ করা হয়েছিল, সেখান থেকে বেশ কিছু বোতল সরিয়ে ফেলা হয়। ঘটনায় জড়িত হিসাবে থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর (ASI) এবং আরও চার কনস্টেবলকে (Constable) গ্রেফতার করা হয়েছে। গুজরাটের মহিসাগর জেলার ঘটনা। তবে সূত্রের খবর, শুধু মদের বোতল নয়, বাজেয়াপ্ত করা বেশ কিছু টেবিল ফ্যানও চুরি হয় বলে অভিযোগ। মোদি রাজ্যের এমন ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে পুলিশের (Police) ভূমিকা।

সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত করা সামগ্রী থেকে মোট ১২৫ মদের বোতল এবং ১৫টি পাখা চুরি গিয়েছিল। পরে থানার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এবং অন্যান্য বিষয় খতিয়ে দেখার পর আসল বিষয়টি সামনে আসে। দেখা যায় চুরির ঘটনায় জড়িত থানারই কয়েকজন কনস্টেবল এবং এএসআই। এরপরই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, বাকোর থানা থেকে বাজেয়াপ্ত করা বেশ কিছু মদের বোতল এবং পাখা চুরি গিয়েছে। থানায় মহিলাদের লক-আপে সেই বাজেয়াপ্ত করা সামগ্রী সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল।

অন্যদিকে, ডিএসপি বলেন, ভারতে তৈরি বিদেশি মদ পাচারের চেষ্টা করছিলেন এক ব্যক্তি। বাইরে থেকে ওই মদ তিনি গুজরাটে নিয়ে এসেছিলেন। পাশাপাশি পাচারকারীর কাছে মোট ৭৫টি পাখা ছিল। সেই পাখার বাক্সের পিছনে মদের বোতল লুকিয়ে পাচারের চেষ্টায় ছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশ তা ধরে ফেলে। ৭৫টি পাখা এবং মোট ৪৮২ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়। সবমিলিয়ে যার বাজারদর প্রায় দু’লক্ষ টাকার কাছাকাছি। তবে তদন্তে উঠে আসে, এএসআইয়ের নেতৃত্বে ওই মদ চুরির পরিকল্পনা হয়েছিল। কর্তব্যরত অবস্থায় থাকাকালীন তাঁরা পাঁচ জন মিলে বোতল সরান। পরে বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় থানার সিসিটিভি ক্যামেরাও। ঘটনায় থানার বাইরের এক জনও জড়িত থাকলেও সে পলাতক। তাঁর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
