কেটে গিয়েছে আট দিন। সবকিছু ঠিকঠাক চললেও আসল যে উদ্ধারকাজ (Rescue Operation) সেটাই হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে উন্নতমানের একাধিক যন্ত্র, কংক্রিটের ব্লক এনেও সেই তিমিরেই পড়ে রয়েছে কাজ। একের পর এক দিন কেটে গেলেও এখনও কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) উত্তরকাশীর (UttarKashi) সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন ৪০ জন শ্রমিক। তবে আর ঠিক কতদিন পর শ্রমিকদের উদ্ধার করা হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছেই। কিন্তু উদ্ধারকাজে যে আরও বেশকিছুদিন সময় লাগবে তা স্পষ্ট হল। এবার উদ্ধারের তোড়জোড়ের পাশাপাশি আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্দেশে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ভাত, রুটি ও তরকারি।

ইতিমধ্যে একটি পাইপ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে খসে পড়া পাথরের মধ্য দিয়ে। প্রায় ৬০ মিটার ধ্বংসস্তূপের ভিতরে সেই পাইপ ৪২ মিটারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে বলে খবর। তবে শুধু ভাত বা রুটিই নয়, সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের অবসাদ কাটানোর ওষুধও পাঠানো হচ্ছে বলে খবর। এদিকে সোমবার সকালে সিল্কিয়ারায় দুর্ঘটনাস্থলে যান কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি (Nitin Gadkari) ও উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তবে গড়কড়ির সাফাই, হিমালয় অঞ্চলের ভূস্তর এক রকমের না হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। তাঁর দাবি, শক্তিশালী যন্ত্রে ধ্বংসস্তূপ খোঁড়ার সর্বশেষ যে চেষ্টা হয়েছিল, সেটাই ছিল উদ্ধারের দ্রুততম পদ্ধতি। নরম মাটি দিয়ে খনন ভালই চলছিল। কিন্তু শক্ত স্তর খুঁড়তে গিয়ে প্রবল কম্পনে নতুন করে ছাদ ধসে পড়ে। বিকল্প ছ’টি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে। তাঁর দাবি, সব ঠিকঠাক চললে আর দু’-তিন দিনের মধ্যে উদ্ধার সম্ভব হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ ব্রহ্মখাল-যমুনোত্রী হাইওয়ের নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গটির একাংশ ধসে পড়ে। সেই থেকে সাড়ে আট মিটার উঁচু ও প্রায় দু’কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন শ্রমিকেরা। অক্সিজেন পাঠানোর সরু পাইপে শুকনো খাবার ও দরকারি রসদ পাঠানো হচ্ছে তাঁদের। ওই শ্রমিকদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের তিন জন রয়েছেন। ধসে পড়া পাথরের মধ্য দিয়ে পাইপ ঢুকিয়ে তার ভিতর দিয়ে আটকে থাকা শ্রমিকদের বার করে আনার কথা ভাবা হয়েছিল। পর পর দু’বার সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। সিল্কিয়ারার দিক থেকে ধ্বংসস্তূপ খননের কাজ শুক্রবার দুপুরের পরে থমকে যায়। রবিবার সন্ধ্যার পরেও তা চালু হয়নি। জানানো হয়েছে, সুরক্ষা নিশ্চিত করে ফের উদ্ধারকাজ শুরু হবে।
