বারাণসীর ঘাটের মতো আরতি আগেই শুরু হয়েছিল কলকাতার গঙ্গাপারে। এর সূত্রপাত করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার সেই সঙ্গে যোগ হল দেব দীপাবলি। বাঙালির আনন্দ উদ্যাপনের ক্যালেন্ডারে ঢুকে পড়ল আরও একটি উৎসব। রবিবার সন্ধ্যায় দশ হাজারেরও বেশি প্রদীপে সেজে উঠল কলকাতার বাজে কদমতলা ঘাট। সেখানে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে দেব দীপাবলি’র সূচনা করলেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদের সদস্যরাও। এ বছর প্রথম হলেও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এখন থেকে বাজে কদমতলা ঘাটেই পালিত হবে দেব দীপাবলি।

মুখ্যমন্ত্রীর আরতি বন্দনা নামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করল কলকাতা পুরসভা। অনুষ্ঠানে সামিল হন কয়েক হাজার মানুষ। কথিত আছে, দেব দীপাবলীর দিন গঙ্গায় স্নান করতে মর্ত্যে আসেন সব দেব-দেবীরা। এই দেব দীপাবলির দিনেই কাশীর ঘাটেই শক্তিশালী ও ভয়ঙ্কর ত্রিপুরাসুরকে বধ করেছিলেন মহাদেব বলে কথিত আছে।লঞ্চে চেপেও বিশেষ গঙ্গা আরতি দেখার হিড়িক পড়ে এদিন। জ্বালানো হয় সবুজ আতসবাজিও।

আগামিকাল সোমবারও চলবে দেব দীপাবলি উদযাপন। আগামিকাল পাঁচটা থেকে সাড়ে আটটা আরতি ছাড়াও রয়েছে নাচ ও ভক্তিগীতির বিশেষ অনুষ্ঠান। বেনারসের ধাঁচে এই অনুষ্ঠান দেখতে বিকেলে বাজা কদমতলা ঘাটে ভিড় জমার সম্ভাবনা।তাই আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন থাকবে বিশেষ বাহিনীও।
