Sunday, November 9, 2025

দীর্ঘ যু.দ্ধে আর্থিক সঙ্কট, ইউক্রেনকে অ.স্ত্র সরবরাহে রাশ টানছে আমেরিকা-জার্মানি

Date:

যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। অর্থাৎ ১ বছর ৯ মাস ধরে লাগাতার যুদ্ধ চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। যুদ্ধের শুরু থেকেই ইউক্রেনকে সমর্থন জানিয়েছিল জো বাইডেন সরকার। এমনকি অস্ত্রশস্ত্র দিয়েও সাহায্য করা হচ্ছিল। তবে জার্মানির সঙ্গে জোট বেঁধে সেই আমেরিকাই নাকি এ বার ইউক্রেনকে যুদ্ধ থেকে সরে আসার কথা বলছে! তেমনটাই উঠে এসেছে জার্মানির এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।

জার্মানির সংবাদমাধ্যম ‘বিআইএলডি’-র প্রতিবেদন সূত্রে জানা যাচ্ছে, দীর্ঘ মেয়াদি এই যুদ্ধে ক্লান্তি ও অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে কিভকে সমর্থন করা নেটো দেশগুলির পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। আর সেই কারণেই আমেরিকা এবং জার্মানি জেলেনস্কি সরকারকে যুদ্ধ থেকে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। গত মার্চ মাসে বিষয়টি নিয়ে আমেরিকায় এই ইস্যুতে বৈঠকে বসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন(Joe Biden) ও জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ(Olaf Scholz)। সেই বৈঠকে বাইডেন এবং ওলাফ উভয়েই নাকি ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ সীমিত করার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছিলেন। একইসঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসার জন্যও নাকি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপর পরোক্ষ ভাবে চাপ দিতে সম্মত হয়েছিলেন তাঁরা। ইউক্রেনকে লাগাতার অস্ত্র সরবরাহকারী প্রধান দুই দেশ আমেরিকা এবং জার্মানি এখন শুধুমাত্র ‘নির্দিষ্ট পরিমাণ’ অস্ত্র সরবরাহ করতে চায় ইউক্রেনকে। যাতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তারা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য যাতে পর্যাপ্ত সুযোগ থাকে, সেই অবকাশ রাখতেও ইউক্রেন সেনাবাহিনীর হাতে বেশি অস্ত্র তুলে দিতে রাজি নয় আমেরিকা এবং জার্মানি।

সরকারি সূত্র জার্মানির ওই সংবাদমাধ্যমকে বলেছে, ইউক্রেনের উচিত ‘সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা’ নিয়ে রাশিয়ার শাসক ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসা। হোয়াইট হাউস এবং চ্যান্সেলার বিষয়টি দেখছেন। যুদ্ধ যেভাবে চলছে এ ভাবে সব কিছু চলতে পারে না। কিভ এবং মস্কো যদি আলোচনায় বসতে রাজি না হয়, তা হলে দুই দেশের মধ্যে সমস্যার কোনও সমাধান হবে না। দুই সরকারের মধ্যে কোনও আনুষ্ঠানিক চুক্তিও হবে না। সেক্ষেত্রে দু’দেশের (রাশিয়া এবং ইউক্রেন) মধ্যে শান্তি আলোচনা সম্ভব না হলে বিকল্প হিসাবে কোনও চুক্তি ছাড়াই সংঘাত থামাতে চাইছে বার্লিন এবং ওয়াশিংটন। অর্থাৎ শান্তি আলোচনা বাস্তবায়িত না হলেও, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে একটি নতুন সীমানা টানতে চাইছে আমেরিকা এবং জার্মানি। ক্রিমিয়া ছাড়াও ইউক্রেনের প্রায় ১৭.৫ শতাংশ জমি এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। যা ২০১৪ সালে অধিগ্রহণ করেছিল পুতিন সরকার। রাশিয়ার দাবি, সেই জমি তাদের দেশেরই অংশ। যদিও ইউক্রেন এই বিকল্প রাস্তাতেও হাঁটবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞেরা।

Related articles

জাত-পাতের ভাগ করে রাজনীতিকরা! জাতিভেদ তুলে দিতে সরব মোহন ভাগবত

ভারতে রাজনৈতিক কারণে জাত-পাত নিয়ম বর্তমান। এবার সরব আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। আদতে দেশের রাজনীতিতে মানুষের সমান অধিকার...

বালিচকের প্লাটফর্মে ধাক্কা মালগাড়ির, অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

রবিবার সকালে খড়্গপুর ডিভিশনে রেল দুর্ঘটনা। নটা নাগাদ বালিচক স্টেশনে বিকট আওয়াজে একটি মালগাড়ির ইঞ্জিন ধাক্কা মারে প্ল্যাটফর্মে।...

তারকেশ্বরে শিশুকন্যাকে অপহরণ করে যৌন নির্যাতন, গ্রেফতার দাদু!

চার বছরের ঘুমন্ত শিশুকন্যাকে মশারি কেটে বের করে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন। তারকেশ্বর স্টেশন (Tarkeswar Station) সংলগ্ন ড্রেন...

রবিবাসরীয় সকালে চাঁদনী চকের CESC অফিসের ট্রান্সফর্মারে বিস্ফোরণ!

সাতসকালে মহানগরীতে ফের অগ্নিকাণ্ড (Fire incident in Kolkata)। সকাল ৭টা ১০ মিনিট নাগাদ চাঁদনী চকের CESC অফিসের একটি...
Exit mobile version