লক্ষ্য যখন ‘শুক্র’, যমজ গ্রহে মহাকাশযান পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু ইসরোর

ISRO-র চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, অভিযানের সব পরিকল্পনা সম্পূর্ণ হয়েছে এমনকি পেলোডও তৈরি হয়ে গিয়েছে।

চাঁদ, মঙ্গলের পর এবার টার্গেট শুক্র(ISRO Venus Mission) । সূর্যের দিকে এগিয়ে চলেছে আদিত্য এল ওয়ান (Aditya L 1)। অন্যদিকে গগনযানের (Gaganyaan )পরীক্ষামূলক কাজকর্ম চলছে। ফের চন্দ্রযান পাঠানো হবে কিনা তা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীদের মধ্যে। এর মাঝেই ‘শুক্রযান-১’ (Shukrayaan-1 Mission) মহাকাশযান পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করল ISRO।

সূর্যের কাছাকাছি পৌঁছতে আদিত্য এল ওয়ান-এর আর মাত্র এক মাস সময় লাগবে। এরপরই অবজারভার তার কাজ করতে শুরু করে দেবে বলে জানাচ্ছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। তবে শুধু চাঁদ, সূর্য আর মঙ্গল নয়, এবার শুক্রগ্রহের বায়ুমণ্ডল এবং শুক্রপৃষ্ঠের গঠন নিয়ে গবেষণা করতে চায় ISRO। এই গ্রহকে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপ, জাপান এবং আমেরিকাও । বছর সাতেক আগে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (European SpaceAgency) ‘ভেনাস এক্সপ্রেস’ রওনা দেয়। জাপানের ‘আকৎসুকি ভেনাস ক্লাইমেট অরবিটার’ এখনও শুক্রগ্রহের চারিদিকে ঘুরে চলেছে। NASA-র ‘পার্কার সোলার প্রোব’ও একাধিক বার শুক্রের গা ঘেঁষে উড়ে গিয়েছে। এবার পালা ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার উড়ানের। মূলত প্রতিবেশী গ্রহের উপর নজরদারি চালাতেই এই মিশন। ‘শুক্রযান-১’ মহাকাশযানের পেলোডে একটি হাই-রেজলিউশন সিন্থেটিক অ্যাপার্চার অ্যান্টেনা থাকবে। শুক্রপৃষ্ঠের উপর নজরদারি চলতে গ্রাউন্ড-পেনিট্রেটিং রেডার যুক্ত করা হচ্ছে। যদি কোন কারনে সামনের দৃশ্যমানতা কম থাকে বা কোন বাধা-বিপত্তি থাকে তাহলেও শক্তিশালী ওই দুই রেডার নির্বিঘ্নে ইসরোকে তথ্য পাঠাতে সক্ষম। ISRO-র চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, অভিযানের সব পরিকল্পনা সম্পূর্ণ হয়েছে এমনকি পেলোডও তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ‘শুক্রযান-১’ মহাকাশযানের (ISRO Venus Mission) উৎক্ষেপণ কবে, তা এখনও ঠিক হয়নি।

Previous articleজ্যোতিপ্রিয়র নি.রাপত্তা বাড়াতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ আদালতের
Next articleভারতের জন‍্য বাজি হেরেছে পিটারসন, কিন্তু কেন?