Thursday, August 28, 2025

শরদ পাওয়ারই সরকারে যোগ দিতে বলেছিলেন: বিস্ফোরক দাবি ভাইপো অজিতের

Date:

এনসিপি ভেঙে বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে মহারাষ্ট্রের বিজেপি ও শিবসেনা(বিক্ষুব্ধ) সরকারে যোগ দিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে ‘বিভীষণ’ তকমা পেয়েছেন অজিত পাওয়ার। তবে এই পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত তাঁর নয় বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন অজিত। এনসিপির এক সম্মেলনে যোগ দিয়ে কাকা শরদ পাওয়ার প্রসঙ্গে অজিত জানালেন, শাসকদলে যোগ দেওয়ার সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন শরদ পাওয়ারই। অজিতের এহেন দাবিতে মহারাষ্ট্র তো বটেই জাতীয় রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত ২ মে, এনসিপির সভাপতির পদ থেকে হঠাৎ ইস্তফা দিয়েছিলেন শরদ পাওয়ার। এরপর অজিত দলের সভাপতি হন। যদিও পরে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন শরদ। এরপর এনসিপি ভেঙে অজিত পাওয়ার মহারাষ্ট্রের শিন্ডে সরকারে যোগ দেন। এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। তবে এই পদক্ষেপের পিছনে কাকা অজিত পাওয়ারে হাত রয়েছে বলে এনসিপি সম্মেলনে দাবি করলেন অজিত। এনসিপি সম্মেলনে অজিত বলেন, “সেদিন আমরা ১০-১২ জন বিধায়ক মিলে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করছিলাম। এরপর সুপ্রিয়াকে ডাকি। আমাদের মনে হয়েছিল সরাসরি শরদ পাওয়ারকে বিষয়টি বললে তিনি কী ভাববেন। সুপ্রিয়া ৮-১০ দিন সময় চান, এবং বলেন তিনি শরদকে বুঝিয়ে বলবেন। তবে বেশকিছুদিন কেটে যাওয়ার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিই সরাসরি শরদ পাওয়ারের সঙ্গে কথা বলার। ওনাকে বিষয়টি জানানোর পর উনি বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য কিছু সময় চান।” এরপর অজিত পাওয়ারের বক্তব্য অনুযায়ী, “এরপর ১ মে দলের এক অনুষ্ঠানে শরদ পাওয়ার আমাকে ডেকে বলেন সরকারে যোগ দিতে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি(শরদ পাওয়ার) দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।”

একইসঙ্গে অজিত বলেন, “শরদ পাওয়ার যে ইস্তফা দেবেন একথা কেউ জানত না। বিষয়টি শুধুমাত্র ৪ জন জানত। এরপর উনি ইস্তফা দিয়ে ১৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেন, এবং নতুন সভাপতি বেছে নিতে বলেন। ২ মে উনি যখন ইস্তফা দেন, তখন তা গোটা এনসিপি নেতৃত্বের কাছেই আকস্মিক ছিল।” তবে শরদ পাওয়ারের পদত্যাগকে আর একটি নাটক বলে দাবি করে অজিত জানান, এক অনুষ্ঠানে নিজের ইস্তফার কথা ঘোষণা করে শারদ পাওয়ার বাড়ি চলে যান। পদত্যাগের পর দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা আনন্দ পরাঞ্জপে ও জিতেন্দ্র আওহাদকে ডাকেন শরদ পাওয়ার। এবং নিজের এই পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের জন্য দলের কর্মী সমর্থকদের যশবন্তরাও সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়। আমি জানি না কেন? পদত্যাগ করতে না চাইলে উনি পদত্যাগ করতেন না। এই নাটক করার অর্থ কী?”

তবে অজিত পাওয়ারের এই দাবি প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই মারাঠা রাজনীতিতে শোরগোল শুরু হয়েছে। যদিও অজিত সত্যি বলছেন? নাকি দলীয় সুপ্রিমোর সম্মানহানি করতে মিথ্যা গল্প ফাঁদছেন তা নিয়ে যথেষ্ট মতান্তর রয়েছে।

Related articles

সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে আশা আলো, ফিফার পর এএফসির চিঠি ফেডারেশনকে

বৃহস্পতিবার ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীদের সব নজর ছিল সুপ্রিম কোর্টের দিকে। ভারতীয় ফুটবল নিয়ে যে অচলাবস্তা চলছে তার জল গড়িয়েছে...

বিধানসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, মুখ পুড়ল বিরোধী দলনেতার

বিধানসভায়(WB Assembly) কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রবেশ নিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশে বিড়ম্বনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Shubhendu Adhikari)। সম্প্রতি রাজ্য...

দুর্গাপুজোয় বাংলায় হয় কোটি টাকার ব্যবসা, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

দুর্গাপুজো(Durga Puja) আমাদের গর্ব। বাংলার বড় উৎসব। এই দুর্গাপূজা(Durga Puja) থেকেও এক কোটি টাকার ব্যবসা হয়। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের...

অতীত ব্যর্থতা ভুলে ডায়মন্ডের জার্সিতে সামনে তাকাতে চান ব্রাইট

ডুরান্ড কাপ(Durand Cup) ফাইনালে হারলেও ময়দানের চতুর্থ শক্তি হিসেবে উদয় হয়েছে ডায়মন্ড হারবার এফসি। আগামী আই লিগ চ্যাম্পিয়ন...
Exit mobile version