উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে বের হয়েই মা তপতী পরামানিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন জয়দেব। ভিডিও কলে মা-ছেলের দীর্ঘক্ষণ কথাও হয়। মাকে নিজের কুশল সংবাদও দেন জয়দেব। অন্যদিকে উদ্ধারকারী দলকে ধন্যবাদও জানান তপতী দেবী।
বাবা বলেছেন, খুব ভাল লাগছে এবার। খুব আনন্দিত লাগছে। আমাদের সাংসদ এখন আমাদের পাশে। এতে আরও ভাল লাগছে। উনি সবসময় আমাদের পাশে ছিলেন। প্রায়দিনই আমাদের পাশে ছিলেন। কথা বলেছেন। ছেলের এই সাহসী মনোবল আমি কোনওদিন ভাঙতে চাইব না।
গ্রামে ফিরে সুড়ঙ্গে আটকে থাকার ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা সকলকে জানান দুজনে। তাঁরা জানান, সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ের প্রথম দুদিন খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলেন তারা। পরে যদিও আতঙ্ক কেটে যায়। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ার পর থেকে অনেকটাই যেন শান্তি পান তাঁরা।
খাবারের কোনও অভাব হয়নি টানেলে। বেরিয়ে আসতে যে পারবেনই, সেই মনের জোর আগাগোড়াই ছিল তাঁদের। ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’ দুই শ্রমিক নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল। “কাজে তো ফিরতেই হবে”, বলছেন সৌভিক-জয়দেবরা।