সময়ের অভাব,পরিকাঠামো সমস্যায় এবছরও হবে না শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা

স্থানীয় হস্তশিল্পীদের সুযোগ করে দিতে গীতবিতান মঞ্চে হস্তশিল্প মেলার আয়োজন করবে রাজ্য সরকার

শেষ পর্যন্ত এবছরও হবে না শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা। শনিবার একথা জানিয়ে দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সময়ের অভাব, পরিকাঠামোর সমস্যায় পৌষমেলা এ বছর করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিল বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।এর পরই গীতবিতান মঞ্চে বিকল্প হস্তশিল্প মেলার কথা ঘোষণা করেন বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা।তিনি জানান, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ২৩ ডিসেম্বর থেকে হবে এই মেলা।

গত বছরও করোনার জেরে হয়নি পৌষ মেলা। এবছরও মেলার আয়োজনে সময়ের অভাবের কথা জানিয়েছে বিশ্বভারতী। মেলা আয়োজনের মতো সামর্থ্য তাদের নেই বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। যার জেরে পৌষ মেলার ভাগ্য বিশ বাঁও জলে।

যদিও স্থানীয় হস্তশিল্পীদের সুযোগ করে দিতে গীতবিতান মঞ্চে হস্তশিল্প মেলার আয়োজন করবে রাজ্য সরকার। শনিবার মেলা প্রাঙ্গন পরিদর্শন করেন স্থানীয় বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা। এর পর তিনি ঘোষণা করেন, বোলপুরের আশপাশের হস্তশিল্পীদের সুযোগ করে দিতে এই মেলা হবে। পৌষ মেলা না হওয়ায় এই মেলায় ভালো ভিড় হবে বলে আশা করছি।বেশ কয়েক বছর ধরে পৌষমেলা নিয়ে নানা টানাপোড়েন চলছে। পৌষমেলায় দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে আদালতের নির্দেশে নানান বদল করতে হয়েছে।এমনকী মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে বিবাদের জেরে শান্তিনিকেতনে উত্তেজনা ছড়ায়।

রবীন্দ্রভবনের স্পেশাল অফিসার নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন, যে প্রাক্তন উপাচার্য মেলা বন্ধ করে জনমানসে অভিযুক্ত, তিনি অবসর নিয়েছেন ৮ নভেম্বর। তারপর এতদিনেও পৌষমেলা নিয়ে দক্ষ, অভিজ্ঞ আধিকারিক, কর্মী এবং অধ্যাপকদের নিয়ে একটা সাহসী, নিরপেক্ষ কমিটি হয়নি কেন? তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত’ বলে ইদানীং যেসব সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলস্রোতের বিরাট একটা অংশের কোনও যোগাযোগ নেই।

 

Previous articleআসন ভাগ হলে, এই অবস্থা হত না: কংগ্রেসের ভরাডুবি নিয়ে ক.টাক্ষ মমতার
Next articleপালাবদলের ধারা অব্যাহত মিজোরামেও, সরকার গড়তে চলেছে লালডুহোমার দল ZPM