টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে এথিক্স কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে শুক্রবার বহিষ্কার করা হয়েছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। তবে যার বিরুদ্ধে শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেওয়ায় এদিন সরব হয়ে উঠলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদের এই পদক্ষেপকে ‘অসংবিধানিক’ বলে তোপ দাগলেন তিনি।

শুক্রবার সংসদে মহুয়া সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে মহুয়াকে বলতে দেওয়ার দাবিতে সরব হন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, “দেশের সংবিধান বলে, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। সেটা দেওয়া হোক।” পাশাপাশি তিনি জানান, “যে হিরানন্দনির এফিডেবিট দেখাচ্ছে এথিক্স কমিটি। সে হিরানন্দানিকে এথিক্স কমিটি সাক্ষী হিসেবে নিয়ে আসেনি। উনি এসে বলেননি যে এটা ওঁর এফিডেবিট। এভাবে কখনো ন্যায় বিচার হতে পারে না।” সংসদের নিজের সেই বক্তব্যের ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে তুলে ধরেছেন কল্যাণ।

পাশাপাশি এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “একটি আধা-বিচারিক সংস্থা হিসাবে পদক্ষেপ নেওয়ার আগে মহুয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল লোকসভার। সংসদ আইন বা সংবিধানের ঊর্ধ্বে নয়। সংসদ নিজেই সংবিধানের একটি প্রাণী।
While acting as a quasi-judicial body, the Lok Sabha should have heard @MahuaMoitra.
Parliament is not above law or Constitution. Parliament is itself a creature of Constitution.@BJP4India with brute majority went ahead to expel her.#StandWithMahuaMoitra pic.twitter.com/rmTpIBpVrz— Kalyan Banerjee (@KBanerjee_AITC) December 8, 2023
বিজেপির পাশবিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে মহুয়াকে বহিষ্কার করল।” পাশাপাশি মহুয়া ইস্যুতে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মহুয়া মৈত্র বিচার পাননি। আমরা বিরোধীরা এক জোট হয়ে লড়াই করব।” এছাড়াও মহুয়ার পক্ষ নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, “এটা একটা স্টিং অপারেশন। সমস্ত তথ্য সামনে ছিল। ফাঁসির আগেও আসামীকে তাঁর শেষ কথা বলতে দেওয়া হয়, কিন্তু এখানে একপক্ষ শুনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।”

আরও পড়ুন – কাঁধে গু.রুতর চো.ট মদনের, স্থিতিশীল না হওয়ায় এখনই অ.স্ত্রোপচার নয়