উত্তরপ্রদেশের মথুরার (Mathura, Uttarpradesh) শাহি ইদগা মসজিদ (Shahi Idgah Mosque)জরিপে সবুজ সঙ্কেত দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court)। তবে কি এবার কৃষ্ণ জন্মভূমি বিতর্কের (Krishna Janmabhoomi Controversy) অবসান ঘটতে চলেছে? কাটরা কেশবদেব মন্দিরের সংলগ্ন এলাকায় যে শাহি ইদগাহ মসজিদ রয়েছে, সেই মসজিদ চত্বর পরিদর্শনের জন্য একটি কমিশন নিয়োগের আদেশ চেয়ে এলাহাবাদের হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। আজ সেই আবেদন মেনে নিয়েছে আদালত (Allahabad High Court)। আগামী সোমবার সার্ভের প্যানেল গঠন করা হবে। সেদিনই এই সমীক্ষা পরিচালনার জন্য একজন অ্যাডভোকেট কমিশনার নিয়োগ করা হবে বলে আদালত সূত্রে খবর।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন মসজিদের ওই জমিতে প্রাচীন কেশবদাস মন্দির ছিল, যা আসলে ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থল। মসজিদ খুঁড়লে সেখানে মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যেতে পারে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। মথুরার নিম্ন আদালতে প্রথমে মামলা দায়ের হয়। তার বিরোধিতা করে গতবছর ডিসেম্বরে হাইকোর্টে যায় মুসলিম পক্ষ। সেই মামলাতেই এবার মসজিদের জমি জরিপের নির্দেশ এল। আজ যেখানে শাহি ইদগাহ মসজিদ অবস্থিত, সেখানেই নাকি এক সময় জন্ম হয়েছিল ভগবান কৃষ্ণের বলে বিশ্বাস করেন হিন্দুত্ববাদীরা। কৃষ্ণ জন্মস্থলের সম্মানে সেখানে একটি হিন্দু মন্দিরও ছিল। পরে, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ইতিহাসবিদদের একাংশের দাবি ১৯৩৫ সালে ওই মন্দির চত্বরের মালিকানা মথুরার রাজার হাতে সঁপে দেয় এলাহাবাদ হাই কোর্ট। পর্যায়ক্রমে সেই সত্ব বর্তায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ঘনিষ্ঠ শ্রী কৃষ্ণভূমি ট্রাস্টের হাতে। এরপর দুই ধর্মের ভাবাবেগে সংঘাত লাগে। ১৯৬৮ সালে এক চুক্তির মাধ্যমে মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করার অধিকার পায় মুসলিম পক্ষ। এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসল সত্য উদ্ঘাটন করতে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দুসেনার তরফে বিষ্ণু গুপ্ত নামের এক ব্যক্তি গত বছর নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হন। ১৩.৭৭ একর জমির উপর শাহি ইদগাহ মসজিদ রয়েছে, এর একেবারে গায়ে লাগোয়া কাটরা কেশব দেব মন্দির। মসজিদের ওই ১৩.৭৭ একর জমিই মন্দিরের বলে দাবি হিন্দুদের।
