Manipur Update: সাত মাস ধরে পড়ে আছে মৃ.তদে.হ! অবশেষে শুরু গণসৎ.কার

নিহ.তদের মধ্যে মধ্যে ৯৪ জনের দে.হ রাজ্যের তিনটি হাসপাতালের ম.র্গে পড়ে ছিল। সেগুলির সৎ.কার করা যাচ্ছিল না।

জাতি দাঙ্গার জেরে মনিপুর (Communal Violence in Manipur) জুড়ে তৈরি হওয়া অশান্তির পর এবার মৃতদেহ ঘিরে অব্যবস্থার ছবি প্রকাশ্যে। উত্তর-পূর্বের রাজ্যের তিনটি মর্গে পড়ে আছে লাশের পর লাশ। ৯৪টি মরদেহের মধ্যে ৮৮টি দু সপ্তাহের মধ্যে সৎকার করতে রাজ্য সরকারকে সময়সীমা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। গত ১৩ ডিসেম্বর তা শেষ হয়েছে। এবার কপ্টারে করে দেহগুলি সংশ্লিষ্ট জেলায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সড়ক পথে নিয়ে গেলে সেটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলেই জানিয়েছে সে রাজ্যের সরকার (Manipur Government)।

মে মাসের ৩ তারিখ থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মনিপুর।কুকি এবং মেতেইদের রক্তাক্ত সংঘর্ষে রাজ্যের শাসন ব্যবস্থার বেহাল দশা চোখে পড়ে। পরিস্থিতির সামাল দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এত মানুষের মৃত্যুতেও সংঘর্ষ থামেনি। তার উপর আবার দুই গোষ্ঠীর তরফেই মৃতদেহ নিজের নিজের নিজের সংগঠনের কাছে পাঠানোর দাবি করা হয়। সেই দাবি মেনে গণ সৎকারের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলায় সংগঠনের হাতে রাজ্য সরকার দেহ তুলে দিচ্ছে। যদিও সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য ছিল, চলতি পরিস্থিতিতে নাগরিক সংগঠনগুলির গণ সৎকারের দাবি মানা সম্ভব নয়। কিন্তু রাজ্য সরকার দুই জনজাতির কথাকেই প্রাধান্য দিল। মে মাসে জাতিদাঙ্গা শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত সরকারি হিসাবে ১৭৫ জন নিহত হয়েছেন। বেসরকারি মতে সংখ্যাটি অনেক বেশি। নিহতদের মধ্যে মধ্যে ৯৪ জনের দেহ রাজ্যের তিনটি হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল। সেগুলির সৎকার করা যাচ্ছিল না। এদের মধ্যে আবার ৮৮টি দেহ সনাক্ত করা যায়। পরিবারের হাতেই দেহ তুলে দিতে গেছিল প্রশাসন। কিন্তু কুকি ও মেতেই দুই সম্প্রদায়েরই নাগরিক সমাজ দাবি তোলে যে তাঁরা গণসৎকার করবেন। এই অবস্থায় মণিপুরে মানবিক সংকটের বিষয়গুলি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তালের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গড়ে দেন।

এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত কমিটির চেয়ারপারসন জানান, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর চাপের কারণে পরিবার দেহ নিতে এগিয়ে আসছে না। এরপর প্রধান বিচারপতির এজলাসে এই মর্মে রিপোর্ট জমা হওয়ার পর শীর্ষ আদালত মণিপুর সরকারকে দু’সপ্তাহের মধ্যে সৎকারের ব্যবস্থা করা নির্দেশ দেয়। তারপরও কেতে গেছে সাত মাস। শীর্ষ আদালতের দেওয়ার সময়সীমা ১৩ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে।কুকিদের একটি সংগঠন অবশ্য এর আগে নিজেরাই ৩৫টি দেহের সৎকার করেছে। যদিও সেই দেহগুলির পরিচয় প্রশাসনের কাছে নেই।

Previous articleহাওড়া-বর্ধমান লোকাল ট্রেনে সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি, আত্মঘাতী জিআরপির কনস্টেবল
Next articleঅধিনায়ক থেকে সহ-অধিনায়ক হয়ে কী বললেন KKR-ক্রিকেটার নীতিশ রানা?