ইজরায়েলি হা.মলায় গাজায় মৃ.ত আরও ৩৩, প.ণব.ন্দি পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ নেতানিয়াহুর

ইজরায়েলি হানায় গাজার রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছে না। মঙ্গলবারও গাজায় মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। তবে সম্প্রতি ইজরায়েলি সেনার ভুলে ৩ পণবন্দির মৃত্যুর পরে পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাঠে নামলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)।

৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইজরায়েলে হামাস (Hamas) বাহিনীর হামলায় প্রায় ১২০০ সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়, পণবন্দি বানানো হয় প্রায় ২৪০ জনকে। সেই হামলার পরই হামাস বাহিনীকে সম্পূর্ণভাবে শেষ করে দেওয়ার পণ নেয় ইজরায়েল। এমনকি দেশের সীমানা পেরিয়ে অপারেশন চালাতে হলে তাও করবেন বলে জানান নেতানিয়াহু। তারপর থেকে ইজরায়েলি হামলায় মৃত্যু মিছিল অব্যাহত গাজায়। এপর্যন্ত প্রায় ১৯,৫০০ মানুষের মৃত্যুর দাবি করেছে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য দফতর। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও মহিলা বলে দাবি করা হয়েছে।

এরই মধ্যে হামাসের হাত থেকে পালাতে গিয়ে ইজরায়েলি সেনার গুলিতে মৃত্যু হয় ৩ পণবন্দির (hostage)। ঘটনার পর তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে ইজরায়েলে। কিন্তু তারপরেও হামলার পথ থেকে সরছে না নেতানিয়াহুর বাহিনী। গাজার জাবালিয়ায় রবিবার একদিনে মৃত্যু হয়েছিল ১১০ জনের। মঙ্গলবারও মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। কিন্তু পণবন্দিদের পরিবারের অসন্তোষ থামাতে বেশ কিছু পণবন্দি পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

তবে পণবন্দি পরিবারের মন শান্ত হলেও নেতানিয়াহুর যুদ্ধনীতি গোটা বিশ্বে সমালোচনার মুখে। অভিযোগ ইজরায়েলি বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে জল, খাবার ও জ্বালানির সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছে। আমেরিকার ভেটোতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ছাই পড়ে গেলেও বিশ্বের একটা বড় অংশ এখনও যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তেই অটল।

আরও পড়ুন- সংসদে মোদি বন্দনায় শাহ, কার্যত বিরোধীশূন্য লোকসভায় পাশ দণ্ডসংহিতা বিল

 

Previous articleসংসদে মোদি বন্দনায় শাহ, কার্যত বিরোধীশূন্য লোকসভায় পাশ দণ্ডসংহিতা বিল
Next articleসুরাহার চাইতে যাওয়া চাকরি প্রার্থীদের আশার আলো দেখাতে পারলেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়!