সুরাহার চাইতে যাওয়া চাকরি প্রার্থীদের আশার আলো দেখাতে পারলেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়!

এজলাসে আইনজীবীকে অপমানের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ আইনজীবীদের। ক্ষমা না চাইলে তাঁর এজলাসে যাবেন না বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারের পরে বুধবারও এজলাসে যাননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguli)। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তাঁর বাড়ির সামনে চূড়ান্ত নাটক। এদিন বিকেলে সল্টলেকে তাঁর বাড়ির সামনে নিয়োগ চেয়ে ভিড় করেন চাকরি প্রার্থীরা। বিপাকে পড়ে বাইরে এসে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বললেও কোনও সুরাহা দিতে পারেনি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। দিয়েছেন আলোচনার পরামর্শ। একই সঙ্গে তিনি স্বীকার করেন, চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ তিনি করাননি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সহৃদয় হয়ে সেটা করেছেন।

এদিন দিনভর সল্টলেকের বাড়িতেই ছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিকেলে তাঁর বাড়ির সামনে নিয়োগ চেয়ে ভিড় করেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিপাকে পড়ে বাইরে এসে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বললেও কোনও সমাধানসূত্রে দিতে পারেনি। উল্টে লিগাল সেলের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

চাকরিপ্রার্থীরা বিচারপতির কাছে দাবি জানান, যেভাবে তিনি সোমা দাসের চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তাঁদেরও দিন। চাকরি প্রার্থীদের দাবি তাঁরাও যোগ্য প্রার্থী। এর আগে ক্যান্সার আক্রান্ত সোমা দাসের চাকরির জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে তুলে তিনি জানান, “সোমা দাসকে আমি চাকরি দিইনি। তাঁর অবস্থা দেখে চাকরির সুপারিশ করেছি মাত্র। ওনাকে চাকরি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ব্যাপারটি খুবই সহানুভূতির সঙ্গে দেখেছিলেন।”

চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিচারপতি ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলেন। জানার চেষ্টা করেন, কেন এঁদের নিয়োগ আটকে রয়েছে? এরপরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আপনাদের মামলাটি অন্য একজন জজ সাহেবের কাছে রয়েছে। এভাবে সমাধান হবে না। পাশাপাশি, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguli) প্রশ্ন তোলেন, কেন ১০০০দিন ধরে রাস্তায় বসে আছেন চাকরিপ্রার্থীরা? তাঁরা যদি সত্যিই যোগ্য প্রার্থী হন, তাহলে হাই কোর্টে পিটিশন দিচ্ছেন না কেন?

চাকরিপ্রার্থীরা জানতে চান, তাঁরা এবার কী করবেন! কোনও দিশা দেখাতে পারেননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। উল্টে তাঁদের সরকারির লিগাল সেলের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েই হাত তুলে নেন। জানিয়ে দেন, এর বেশি আর তাঁরা কিছুই করার নেই। কার্যত খালি হাতে হতাশ হয়ে ফিরে যান চাকরি প্রার্থীরা।

Previous articleইজরায়েলি হা.মলায় গাজায় মৃ.ত আরও ৩৩, প.ণব.ন্দি পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ নেতানিয়াহুর
Next articleইন্দ্রানী সেনের মিউজিক অ্যালবাম “তুমি রবে নীরবে” প্রকাশ