কাকভোরে নবান্ন চত্বরে ডিএ আন্দো.লনকারীরা, রাস্তা আটকে ধ.র্নায় বসলে পুলিশের সঙ্গে ব.চসা

সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যা.লেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য, শোনা যাচ্ছে, সেই কারণেই আন্দো.লনকারীদের বসতে দেয়নি পুলিশ, সেই নিয়েই শুরু হয় তর্কা.তর্কি, বাক বি.তণ্ডা।

শীতের কাক ভোরে নবান্ন চত্বরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী বড়দিনের উপহার হিসেবে সরকারি কর্মচারীদের আরও ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন। যা পয়লা জানুয়ারি থেকেই কার্যকরী হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে অনড় সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। কার্যত জেদ করে নবান্ন অভিযান করে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। ধর্মতলা থেকে বাসে করে ভোর ৫টা থেকে দলে দলে নবান্নে পৌঁছেছেন আন্দোলনকারীরা। নবান্নের সামনে বাসস্ট্যান্ডে বসে ধরনা করার সিদ্ধান্ত নেয় তাঁরা। ধর্নায় বসা নিয়ে যথারীতি পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।

গতকাল, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল নবান্ন চত্বরে আন্দোলনে বসতে পারবেন যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। রাতে ধর্নায় বসতে পুলিশ বাধা দিলে তাঁরা জানান সকালেই আসবেন। তাই শুক্রবার দিনের আলো ফোটার আগেই নবান্নের কাছে পৌঁছে যান আন্দোলনকারীরা।সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য, শোনা যাচ্ছে, সেই কারণেই আন্দোলনকারীদের বসতে দেয়নি পুলিশ, সেই নিয়েই শুরু হয় তর্কাতর্কি, বাক বিতণ্ডা।

হাওড়া পুলিশ (Howrah police) রাত থেকেই ব্যারিকেড দিয়ে আন্দোলনকারীদের আটকানোর চেষ্টা করে। পুলিশের বাধা পেয়ে নবান্নের সামনে রাস্তাতেই বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের উঠে যাওয়ার জন্য অনুরোধ আসতে থাকে পুলিশের তরফে। কিন্তু নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকে আন্দোলনকারীরা। দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বাদানুবাদ।

এদিকে নবান্নের সামনে রাস্তায় আন্দোলনকারীরা বসে থাকায় ট্রাফিক আটকে যায়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, হাইকোর্ট নবান্নের কাছে বাসস্ট্যান্ডে ধর্নায় বসার অনুমতি দিয়েছে, কিন্তু পুলিশ তাদের ঢুকতে দিচ্ছে না। পরে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের। অবশেষে ব্রীজের নীচে বসতে দেওয়া তাঁদের। সেখানেই আপাতত ধরনায় বসেছেন আন্দোলনকারীরা।

Previous articleকলকাতায় ফিরলো কো.ভিড আত.ঙ্ক, মহানগরীর তিন হাসপাতালে মিলল আ.ক্রান্তের হদিশ!
Next articleব্রিগেডে গীতা পাঠের দিনেই ঢিলছোঁড়া দূরত্বে কংগ্রেসের সংবিধান পাঠ