রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য বৃহস্পতিবার আরও ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট নন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে অনড় তাঁরা। আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা করেছে সংগ্রামী সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।

আগেই নবান্নের সামনে ডিএ আন্দোলনকারীদের ৭২ ঘণ্টা সভা করার অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ সেই মামলার শুনানিতে আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে সভা করার অনুমতি দিয়েছিল। বিচারপতির নির্দেশ ছিল, ২২ ডিসেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নবান্নের সামনে সভা করতে পারবেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার সেই নির্দেশই কিছুটা বদল করল ডিভিশন বেঞ্চ। ৭২ ঘণ্টা নয়, শনিবার বিকেল চারটে পর্যন্তুই নবান্নের সামনে বিক্ষোভ-সভা করতে পারবেন আন্দোলনকারীরা, জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবারই প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলা করে রাজ্য সরকার। এদিনের শুনানিতে মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওই এলাকা ফাঁকাই থাকে। তিন দিনের ধর্না রয়েছে। তারমধ্যে একদিন রবিবার। এখানে মাত্র ৩০০ জন অবস্থান করছে।

পাল্টা রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, ‘যে জায়গায় সভা করা হচ্ছে সেটা পরিবহণ দফতরের।’ শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি তাঁর নির্দেশে জানান, আগামিকাল শনিবার বিকেল চারটে পর্যন্তই সভা করতে পারবেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। তিনি আরও বলেন, ধর্না কর্মসূচি যেন শান্তিপূর্ণ হয়। কোনওরকম স্লোগান দেওয়া যাবে না। এই শর্তেই অনুমতি দেওয়া হল।
