DYFI-এর জমি খোঁজার ইনসাফ যাত্রা ‘ফ্লপ’, মীনাক্ষি-মুখেও অন্দরে বিভাজন স্পষ্ট!

পর পর নির্বাচনে ভরাডুবি। ৩৪ বছরের দম্ভ শেষে এখন বাংলায় বামেরা শূন্য। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ‘নবজোয়ার’-এর ধাঁচে ’ইনসাফ যাত্রা’ করল সিপিএমের যুব সংগঠন DYFI। কিন্তু সেখানে ছিল জনজোয়ার বাংলার কোথাও কোনও ছাপ ফেলতে পারল না ’ইনসাফ যাত্রা’।  শুধু তাই নয়, স্যোশাল মিডিয়ায় ’ইনসাফ যাত্রা’র সঙ্গে গণসঙ্গীতের বদলে বাজল অরিজিৎ সিংয়ের গান। এদিকে, নেত্রী হিসেবে মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় (Minakkhi Mukharjee) সামনে চলে আসায় গোলমাল বেঁধেছে আলিমুদ্দিনের অন্দরে।

বামেদের যুব সংগঠন DYFI-এর ৫০ দিনের ইনসাফ যাত্রা শুরু হয় ৩ নভেম্বর কোচবিহার থেকে। শুক্রবার যাদবপুরের ৮-বি বাস স্ট্যান্ডের মঞ্চে এসে শেষ হয়। কিন্তু বাংলার উত্তর বা দক্ষিণ কোনও জেলাতেই এই যাত্রা প্রভাব ফেলতে পারেনি। শুধুমাত্র কলকাতা ও তার আশপাশের জেলায় কিছুটা ভিড় দেখা যায়। তাও শাসকদলের ব়্যালির সিকিভাগও নয়। নিজের সংগঠনের সদস্যদেরই পথে নামাতে পারেনি বামে যুব সংগঠন। সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান তো দূরস্ত।

পাখির চোখ ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। পায়ের তলায় মাটি খুঁজতে নতুন মুখদের সামনে এগিয়ে দিচ্ছে আলিমুদ্দিন। আবেগের বসে মঞ্চে দাঁড়িয়ে DYFI-এর রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় (Minakkhi Mukharjee) বলছেন, “বড় কয়লা তাড়াতাড়ি জ্বলে যায়। ছোট কয়লার আঁচ অনেক্ষণ থাকে। আমারা আন্দোলনে আঁচ জিইয়ে রাখব।“ এই কথার পরেই সিপিএমের অন্দরে জোর চর্চা। তাহলে কী ক্ষমতা পেয়েই পক্ককেশেদের লড়াইয়ের স্পিরিটকে চ্যালেঞ্জ করছেন! প্রশ্ন উঠছে, আগের অনেক নির্বাচনে তরুণ ব্রিগেজকে এগিয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত কোনও লাভ হয়নি। তাহলে কেন আবার তাদের উপর ভরসা করছে দল! যেখানে ইনসাফ যাত্রায় কোনও জায়গাতেই লোক জড়ো করতে পারেনি যুব সংগঠন। সেখানে তাদের এত গুরুত্ব কেন দিচ্ছে দলের একাংশ!

আরও খবর: উঠল নি.ষেধাজ্ঞা! হি.জাব পরেই স্কুলে যেতে পারবেন মু.সলিম ছাত্রীরা, বড় ঘোষণা সিদ্দারামাইয়ার

এদিকে, প্রশ্ন উঠছে সিপিআইএমের সংস্কৃতি কি বদলে যাচ্ছে? গণসঙ্গীতকে সরিয়ে বাণিজ্যিক গান ব্যবহার হচ্ছে। এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বামেদের অন্দরে। অনুষ্ঠান, প্রচারে এতদিন গণসঙ্গীতের ব্যবহার করা হয়। কিন্তু

 

তার আগেই কি সময়ের দাবি মেনে   জায়গা করে নিচ্ছে । আর এটা অবাক হচ্ছে। সাধারণ কর্মী থেকে নাগরিকরাও। ইনসাফ যাত্রার বিভিন্ন ক্লিপের সঙ্গে হিন্দি ছবির গান জুড়ে সেটাকে রিল বানিয়ে পোস্ট করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় বামেদের বিভিন্ন গ্রুপে। এই দেখে অবাক অনেকেই। এখন যুব প্রজন্মের মতে নতুন হিন্দি গানের ব্যবহারে ক্ষতি কী! মানুষের কাছে পৌঁছানোই তো আসল লক্ষ্য। তবে, এই দেখে লাক কুঁচকেছেন কট্টরপন্থীরা। তাঁদের মতে, পার্টি লাইনে বদল আনলে চলবে না। বাম সংস্কৃতি অনুযায়ী গণসঙ্গীতকেই ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ এটা নিয়েও সিপিএমের অন্দরে বিভেদ তৈরি হয়েছে।

Previous articleউঠল নি.ষেধাজ্ঞা! হি.জাব পরেই স্কুলে যেতে পারবেন মু.সলিম ছাত্রীরা, বড় ঘোষণা সিদ্দারামাইয়ার
Next articleজঙ্গি হানার জের, জম্মু-কাশ্মীরের একাংশে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা!