বাঙালি বি.দ্বেষ ছড়িয়ে দিচ্ছে বিজেপি, গীতাপাঠের ফ্লপ শো নিয়ে তোপ তৃণমূলের

তৃণমূলের তরফে সুকান্তর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেতা-নেত্রীরা

বিজেপির আয়োজনে গীতাপাঠের ‘ফ্লপতম’ কর্মসূচি দেখল ব্রিগেড।আর এরই মাঝে আগ বাড়িয়ে গীতা মাহাত্ম্য বোঝাতে গিয়ে স্বামী বিবেকানন্দকে ‘কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ’ করে বসলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার!যা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও বলেন, ‘সুকান্ত মজুমদার আর বিজেপি যে বিবেকানন্দকে অবহেলা আর তাচ্ছিল্য করেন, তা তো পরিষ্কার। বাঙালি বিদ্বেষ প্রচার করছে, বলতে পারেন ছড়িয়ে দিচ্ছে বিজেপি’। তাঁর মতে, ‘ব্রিগেড রাজনৈতিক জায়গা। গীতাপাঠ ধর্মীয় স্থান হতে পারত। বিগ্রেড রাজনৈতিক দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়, ধর্মচারণ হয় না’।সুকান্ত একজন অধ্যাপক হয়েও কীভাবে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্য করে বসলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তৃণমূলের তরফে সুকান্তর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নেতা-নেত্রীরা।

তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন,গীতা, এই পবিত্র বইটিকে তৃণমূল কংগ্রেসও সম্মান করে। কিন্তু গীতাকে নিয়ে যে রাজনীতির চেষ্টা হয়েছে, গীতার বিষয়টিকে অপব্যবহার করে, যে রাজনীতি ভারতীয় জনতা পার্টি খুব কুৎসিতভাবে করেছে, সেই রাজনীতিটার আমরা বিরোধিতা করি। বিগ্রেড ফ্লপতম কর্মসূচি দেখেছে। ফাঁকা মাঠ, মাত্র কয়েক হাজার লোক সেখানে ছিলেন। ৩-৪ হাজার, ৬ হাজার লোক হবে। বিস্তীর্ণ অংশ ফাঁকা, শুধুমাত্র কয়েকটা অংশ দেখিয়ে এটা বোঝানো যাবে না।

মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, বিজেপির গীতাপাঠের কর্মসূচি যে ফ্লপ শো হবে সেটা বুঝেই তো আগেভাগে প্রধানমন্ত্রী কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। মন্ত্রী শশী পাঁজার কথায়, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে গীতপাঠ ও ফুটবল খেলার উদাহরণ দিয়েছিলেন স্বামীজি। কিন্তু এই সুকান্ত মজুমদারের মতো বিজেপি নেতারা বাংলার মণীষীদের অপমান করেন। অল্প শিক্ষিত নেতারা এর আগে রবীন্দ্রনাথ, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সবার সম্পর্কে উল্টোপাল্টা মন্তব্য করে ইতিহাসের বিকৃতি ঘটিয়েছেন। সুকান্তকে এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।

এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে রেকর্ড জনসমাগম হবে বলে প্রচার করা হলেও, বাস্তবে রবিবারের ব্রিগেডে দেখা গেল অন্য ছবি।ব্রিগেড ভরা তো দূরঅস্ত, কার্যত ফাঁকা মাঠেই গীতাপাঠের অনুষ্ঠান করতে বাধ্য হল বিজেপি। যদিও মানুষকে ধোঁকা দিতে শহর থেকে জেলা, মোদির বড় বড় কাট আউট দিয়ে প্রচার চালানো হয়েছে। বিজেপির তরফে প্রধানমন্ত্রী আসার বিষয়টি নিয়ে প্রচার করা হয়েছিল। সেই ধোঁকাবাজিও যে মানুষ ধরে ফেলেছে, এদিনের ফাঁকা ব্রিগ্রেড তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ।এর থেকে অনেক বেশি ভিড় দেখা গিয়েছে চিড়ি্য়াখানা, ভিক্টোরিয়া, মিলেনিয়াম পার্ক, ইকো পার্ক, সায়েন্স সিটিতে।বছর শেষের উৎসবের আবহে বিজেপির গীতাপাঠের অনুষ্ঠান সুপার ফ্লপ।

 

 

Previous articleগাড়ি নয়, অটোতে চেপে সঙ্গীত সম্মেলনে হাজির এ আর রহমান
Next articleআন্দোলন চললে সুবিধা বলে বিরোধীরা চায় না সমাধান হোক: নিয়োগ মামলা নিয়ে বিস্ফোরক কুণাল