কোর্ট মিটিংয়ের পর যাদবপুরে শুরু সমাবর্তন! অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে সহ-উপাচার্য

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে (Convocation) কেন্দ্র করে বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। বাংলার রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোসের (CV Anand Bose) আপত্তি সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রবিবার কোর্ট মিটিংয়ের পর শুরু হয়েছে অনুষ্ঠান। আর তাতেই চরম ক্ষুব্ধ হয়ে শনিবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেন আচার্য। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর বুদ্ধদেব সাউকে (Buddhadeb Sau) যাদবপুরের উপাচার্য পদে পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত নেয়। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে রবিবারের জন্য বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয় বুদ্ধদেব সাউকে।

রাজ্যের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ২০২৩ সালের ১৭ অগাস্ট বুদ্ধদেবকে উপাচার্য পদে বসানো হয়েছিল। উপাচার্যের কর্তব্য পালনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। শনিবার আচমকাই তাঁর ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য একক ভাবে এ ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। নিয়ম অনুযায়ী, সমাবর্তন অনুষ্ঠানের যাবতীয় সিদ্ধান্তের জন্য কোর্ট বৈঠক করতে হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু সেই বৈঠকের জন্য রাজ্যপাল তথা আচার্যের অনুমতির প্রয়োজন হয়। আনন্দ বোস কোর্ট বৈঠক করার অনুমতি দেননি। তবে রাজ্যপালের অনুমতি না পেলেও সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তা ভালভাবে নেয়নি রাজভবন। শনিবার রাতেই রাজভবন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বুদ্ধদেবকে উপাচার্য পদকে সরানোর কথা। কিন্তু রবিবার সকালেই দেখা গেল, বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হয়েছেন বুদ্ধদেববাবু। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আগে বৈঠকেও বসেন তিনি।

সূত্রের খবর, রবিবার কোর্ট মিটিংয়ে ঠিক হয় উপাচার্যের উপস্থিতিতেই হবে সমাবর্তন অনুষ্ঠান। বৈঠক থেকে বেরিয়ে জানান রেজিস্ট্রার। তবে ভবিষ্যতে যাতে ডিগ্রি নিয়ে আইনি জটিলতা না হয়, তার জন্য একইসঙ্গে অনুষ্ঠান পরিচালনা করছেন সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্ত। উপাচার্য নিজে ঘোষণা করে অনুষ্ঠান পরিচালনার দ্বায়িত্ব তুলে দেন সহ-উপাচার্যকে। উপাচার্যের স্বাক্ষর করা সার্টিফিকেট তুলে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের হতে। তবে সমাবর্তনে আসছেন না ইউজিসি চেয়ারম্যান। এদিকে সমাবর্তনের জন্য যে মঞ্চ বাঁধা হয়েছে, সেই মঞ্চে বুদ্ধদেব সাহুর জন্য চেয়ার রাখা হয়েছে। সেখানে তাঁকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে উল্লেখ করা রয়েছে। বুদ্ধদেবের পাশেই রাখা হয়েছে আচার্যের আসন। তবে আচার্য আনন্দ বোস এদিনের অনুষ্ঠানে আসছেন না। আসবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়। তবে এদিনের অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

 

 

 

Previous articleশীতের দাপটেও ডেঙ্গির থাবা, মৃত্যু এক নার্সিং পড়ুয়ার!
Next articleকুস্তি ফেডারেশনের নবনির্বাচিত বোর্ডকে সা.সপেন্ড করল কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক