Thursday, December 4, 2025

আন্দোলন চললে সুবিধা বলে বিরোধীরা চায় না সমাধান হোক: নিয়োগ মামলা নিয়ে বিস্ফোরক কুণাল

Date:

Share post:

রাজ্য সরকার নিয়োগের চেষ্টা করছে। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেই মামলা করে স্টে করে দেওয়া হচ্ছে। বিরোধীরা চায় না সমস্যার সমাধান হোক। কারণ আন্দোলন চললে রাজনীতি করার সুবিধা। নিয়োগ মামলা নিয়ে শনিবারের পরে রবিবারও বাম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে ধুয়ে দিলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সাংবাদিকরা কুণাল ঘোষকে (Kunal Ghosh) প্রশ্ন করলে, তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী চান বাংলার বেকার যুবক-যুবতীরা চাকরি পাক। SLST-র চাকরিপ্রার্থীরা তৃণমূল মুখপাত্রর সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছেন, মুখ্যমুন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাঁরা কৃতজ্ঞ। তিনি তাঁদের নিয়োগের পথ করে দিয়েছিলেন। তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া অনেক দূর এগোয়। কিন্তু চাকরিতে যোগ দিতে পারেননি। কারণ, তাঁর আগেই অযোগ্য প্রার্থীদের হয়ে মামলা করে সেই নিয়োগে স্টে করিয়ে দেন বামনেতা তথা আইনজীবী।

SLST-র চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ এর আগে তাঁদের হয়েই মামলা লড়েছেন বিকাশ ভট্টাচার্য। আর সেই বাবদ তিনি ২৭ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে দাবি চাকরিপ্রার্থীদের। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে যখন তাঁদের চাকরি হওয়ার পথে, তখন তাতে স্টে করান বিকাশ।

 

এরপরেই বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, চাকরি পেলে বিরোধীদের অসুবিধা। ধর্না-আন্দোলন চললে তাদের রাজনীতি করতে সুবিধা হয়। তাই সমস্যার সমাধান হোক এটা চায় না বিরোধীরা।

spot_img

Related articles

কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন! দ্রুত কমছে এসআইআর-এ ভোটারহীন বুথ 

এসআইআর-এর ভোটারহীন বা ‘শুষ’ বুথগুলির সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করেছে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে যে সংখ্যা ছিল ২২০৮,...

বহুতল সমস্যা সমাধানে সর্বদা পাশে রাজ্য সরকার: জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

বহুতল সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেস পাশে থাকবে। আরও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার...

রাজ্যের শিক্ষক-কর্মীদের জন্য সুখবর: এবার মিলবে অতিরিক্ত ১০% মহার্ঘ ভাতা

স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হল যে রাজ্যের সরকারি ও সরকারপোষিত স্কুল এবং সংস্কৃত টোলের শিক্ষক...

শিক্ষামন্ত্রী না থাকলে বিজয়ের গোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হত না: কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পর্ষদ সভাপতির

রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকে যে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তা প্রমাণ...