প্রকল্পের কাজের তদারকিকে আধিকারিক নিয়োগ, অনুমোদন দিল অর্থ দফতর

একশো দিনের কাজের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলার প্রতি কেন্দ্রে সরকারের বঞ্চনা অব্যাহত। তা সত্ত্বেও ওই প্রকল্পে গতি ও স্বচ্ছতা আনতে কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া শর্ত মেনেই কাজের তদারকিতে বিশেষ পদ সৃষ্টি করছে রাজ্য সরকার (State Government)। পঞ্চায়েত দফতরের তরফে ওই প্রকল্পে বেশ কিছু সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের ছাড়পত্র চাওয়া হয়েছিল। নবান্নে সূত্রে খবর, সম্প্রতি অর্থ দফতরের তরফে সেই অনুমোদন মিলেছে। একশো দিনের প্রকল্পের কাজে প্রশাসনিক ও প্রযুক্তিগত কাজ তদারকি করবেন তাঁরা। জেলায় জেলায় এই ধরণের কাজের দরপত্র আহ্বান, বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট প্রস্তুতির মতো দায়িত্ব তাঁদের পালন করতে হবে। পাশাপাশি একশো দিনের কাজে জব কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ কাজের তদারকির ক্ষেত্রেও ওই আধিকারিকদের কাজে লাগানো হতে পারে।

কেন্দ্রের কাছ থেকে ১০০ দিনের প্রকল্পে রাজ্যের প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা বকেয়া। সম্প্রতি বকেয়া মোটানোর দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানে একশো দিনের কাজ আবাসের মতো কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আর্থিক বরাদ্দ নিয়ে অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে শুনে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্র রাজ্য যৌথ কমিটি গড়ার কথাও জানানো হয়েছে। আটকে থাকা বকেয়া পাওয়ার বিষয়ে এক ধাপ হলেও অগ্রগতি হয়েছে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।

ইতিমধ্যেই রাজ্যে একশো দিনের কাজের তদারকিতে বিশেষ পদ সৃষ্টি করেছে রাজ্য সরকার (State Government)। একশো দিনের কাজে গুণমান, প্রকল্পের কাজের বৈশিষ্ট্য, পরিকাঠামোগত উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কাজের গুণমান কম থাকার কারণে এর আগে একাধিক জেলাকে জরিমানা করেছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রের একাধিক পর্যবেক্ষক দল রাজ্যে এসে একশো দিনের কাজে পরিদর্শন করে গিয়েছেন। একাধিক ক্ষেত্রে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। সেগুলি মিটিয়ে নেওয়ার বিষয়ে, কাজের উন্নতির ব্যাপারে এই নতুন পদ সৃষ্টি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

Previous articleপণবন্দিদের পরিজনের ক্ষোভের মুখে পার্লামেন্ট ভাষণ থামালেন নেতানিয়াহু
Next articleজয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার দিন ঘোষণা