আ.দিবাসী সংগঠনের ভারত বনধের জের! বিভিন্ন স্টেশনে আটকে একাধিক ট্রেন, দু.র্ভোগ নিত্যযাত্রীদের

পৃথক সারনা ধর্মের কোড চালু-সহ একাধিক দাবিতে ফের পথে আদিবাসী (Adivasi) সেঙ্গেল অভিযান। এর আগেও একাধিকবার পথে নেমে বিক্ষোভ দেখালেও শনিবার ভারত বনধের (Strike) ডাক দিয়েছে সংগঠনটি। আর তার জেরেই সাতসকালে চরম সমস্যার সম্মুখীন সাধারণ মানুষ। শনিবার সাতসকালে পুরুলিয়ায় (Purulia) ফের রেল অবরোধ (Rail Blockade) করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। যার জেরে সকাল থেকে থমকে ছিল রাঁচি-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তবে শুধু পুরুলিয়াই নয়, এদিন আসানসোল ও মালদহের ছবিটাও একেবারে এক। সেখানেও রেল আটকে বিক্ষোভ প্রদর্শনের ছবি সামনে এসেছে।

এদিন আসানসোলের রেলওয়ে ডিভিশনের কালীপাহাড়ি স্টেশনে লাইনের উপর বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের একাংশ। আর তার জেরে সকাল থেকেই ওই ডিভিশনে থমকে যায় ট্রেন চলাচল। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী আপাতত অবরোধ উঠলেও ট্রেন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এদিকে অবরোধের জেরে ব্যাহত হয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেলের পুরুলিয়া চান্ডিল শাখায় ট্রেন চলাচল। তবে শনিবার সকাল থেকে অবরোধের জেরে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। তবে এদিন সকাল থেকে অবরোধ শুরু হতেই পুলিশ আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের নেতাদের সঙ্গে কথা বললেই লাভের লাভ কিছুই হয়নি।

অন্যদিকে, মালদহের আদিনা স্টেশনেও রেল অবরোধ শুরু করেছেন আদিবাসীরা। অবরোধ চলছে পশ্চিম বর্ধমানের কালিপাহাড়ি স্টেশনেও। যার প্রভাব পড়েছে উত্তরবঙ্গেও। পাশাপাশি এদিন নিম্ন অসমে রেল অবরোধের জেরে বাংলা-অসম সীমানা এলাকার বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়েছে ট্রেন। এর মধ্যে বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস থমকে রয়েছে জোড়াই স্টেশনে। অসমের শ্রীরামপুর স্টেশনে আটকে পড়েছে গুয়াহাটিগামী অসম এক্সপ্রেস। গোসাঁইগাও স্টেশনে থমকে আছে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসও। শনিবার সকাল ৬টা ৫০ থেকে আসানসোল ডিভিশনে রেল অবরোধ শুরু হয়। চলে ৭টা ৩৫ পর্যন্ত। তার পর ট্রেন চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক হয়। তবে ওই সময়ের মধ্যেই কালীপাহাড়ি স্টেশনের আগে পরে বেশ কিছু ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। ১২ ঘণ্টা বনধের প্রভাব পড়েছে বাঁকুড়া জেলাতেও। সকাল থেকেই বাঁকুড়া শালতোড়া রাজ্য সড়কে যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়।