দলের ২৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস থেকেই দেশজুড়ে বিজেপি উৎখাতের সংকল্প তৃণমূলের। আজ, পয়লা জানুয়ারি। নতুন বছরের সূচনা। ১৯৯৮ সালে এই দিনটিতে তৎকালীন রাজ্যের বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। অনেক ঝড়-ঝাপটা, ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে দেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত দল তৃণমূল। জোড়াফুলের ২৭ তম জন্মদিনের বছরেই হতে চলেছে দেশের সরকার গঠনের আরও একটি নির্বাচন। ফলে সব দিক থেকে দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন বছরে নতুন সংকল্প নিয়ে প্রতিষ্ঠা দিবস থেকে তৃণমূল নেতৃত্বের বার্তা— ‘বিজেপির হাতে দেশ নিরাপদ নয়’।
প্রতি বছরই দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিনটিকে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করে থাকে তৃণমূল। আজও দিনভর শহর থেকে জেলা একাধিক রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। এদিন সকালে মেট্রোপলিটনে তৃণমূল ভবনে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিস কুমার সহ নেতৃত্ব।
আর কয়েক মাসের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচন। রাজ্যের ৪২টি আসনকেই পাখির চোখ করে এগোচ্ছে তৃণমূল। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি পুরোদমে নেমে পড়ার সংকল্প নেবেন তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা। ইতিমধ্যে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আওয়াজ তুলেছেন, বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও। সেই স্লোগানের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব বলছেন, বিজেপির হাতে দেশ নিরাপদ নয়। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আমলে সাধারণ মানুষের জীবনে নেমে এসেছে দুর্দিন। রামমন্দিরকে সামনে রেখে ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরি করে যাবতীয় ‘ব্যর্থতা’ ঢাকার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। মানুষের স্বার্থেই তাই এই সরকার বদল জরুরি।
এদিন সুব্রত বক্সির ভাষণে উঠে আসে আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের লড়াইয়ের কথা। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে দলের সকলে লডা়ই করবেন বলেই জানান তিনি।