উদাসীন কেন্দ্র, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মুড়িগঙ্গায় ড্রেজিং শুরু রাজ্য সরকারের

দ্রুত গতিতে ড্রেজিং এর কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য আরো দুটি ড্রেজিং মেশিন কাজ করবে

হাতে গোনা কিছুদিন বাকী গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হতে। তার আগে প্রশাসনের সবথেকে বড় মাথাব্যথার কারণ কচুবেড়িয়ায় জেগে ওঠা চর। প্রায় দশ বছর ধরে বাংলাদেশের একটি জাহাজ (Bangladesh vessel) সেখানে ডুবে থাকলেও কেন্দ্র সরকারের তরফে কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি সেই জাহাজ সরানোর। ফলে সেই জাহাজকে ঘিরে বেড়ে ওঠা চর এখন ড্রেজিংয়ের (dredging) দ্বায়িত্ব রাজ্যেরই। মেলা শুরুর আগে যাতে পুণ্যার্থীদের কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য ফরাক্কা থেকে মেশিন এনে শুরু হল ড্রেজিংয়ের কাজ।

গত ২৭ ডিসেম্বর গঙ্গাসাগর নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে মুড়িগঙ্গায় ডুবে থাকা জাহাজ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy) ও পোর্টট্রাস্টকে (Port Trust) জাহাজটি তোলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেও সদুত্তর পাননি মুখ্যমন্ত্রী। কাকদ্বীপের লট নম্বর ৮ থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত যেতে মুড়িগঙ্গাই ভরসা। মেলার আগেই সেখানে চর। মেলা চলাকালীন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী নিয়ে ভেসেল যাতায়াতের ফলে নদীর অবস্থা এমনিই খারাপ হয়ে যাবে। তাই আগে থেকে বেশি করে ড্রেজিং করাই সব সমস্যার সমাধান।

জাহাজ আটকে থাকা জায়গা দিয়ে যাতে কোনও ভেসেল না যায় তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী আগেই প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন। এবার তাঁরই নির্দেশ মতো মুড়িগঙ্গার চর কাটতে ফরাক্কা (Farakka) থেকে মঙ্গলবার সকালে এসে পৌঁছালো একটি অত্যাধুনিক ড্রেজিং মেশিন। আপাতত মেলার আগে চরের পলি-বালি সরানোর ব্যবস্থা করার কাজ চলছে। দ্রুত গতিতে ড্রেজিং এর কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য আরো দুটি ড্রেজিং মেশিন কাজ করবে।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী অনেকদিন আগে থেকে গঙ্গাসাগরে এসে জমায়েত হন। তার জন্য কেন্দ্র সরকারের দিক থেকে কোনও সাহায্য পাওয়া যায়না বলেই অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কার্যত মেলার প্রস্তুতিতে মুড়িগঙ্গার চর কাটার সময়ও সেই বক্তব্যেরই প্রতিফলন হল। কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে ডুবে যাওয়া জাহাজ সরাতে কোনও রকম সাহায্যই পাওয়া গেল না। যদিও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন মেলা শেষ হলে উদ্যোগ নেওয়া হবে ডুবে যাওয়া জাহাজ তোলার জন্য।