তিনিই নিয়োগ করেছিলেন আবার তিনিই সরিয়ে দিয়েছেন! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে বুদ্ধদেব সাউকে নিয়োগ করেছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। আবার রাজ্যপাল-ই তাঁকে বরখাস্ত করেন। তবে এবার বুদ্ধদেব সাউয়ের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার।
বুদ্ধদেব সাউকে বৈধতা প্রদানসহ রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিল উচ্চশিক্ষা দফতর। রাজভবন থেকে রেজিস্ট্রারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আচার্য তাঁকে অপসারণ করার পরেও বুদ্ধদেব সাউ কীভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন? এই প্রসঙ্গে উপাচার্যের পাশেই দাঁড়াল রাজ্য সরকার। রাজভবনের মামলা লড়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অর্থসাহায্য করেছে কীভাবে, সেই ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতর ইতিমধ্যেই চার সদস্যের কমিটি গড়েছে। তারা রাজ্য সরকারকে দ্রুতই রিপোর্ট দেবে।
অন্যদিকে, বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বেসরকারি কলেজগুলির ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। অনলাইনে ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশনের শেষদিন ছিল শুক্রবার। তবে, শুধুমাত্র অনলাইনে ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীরাই সেই রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পেয়েছেন। এর ফলে অনুমোদন না-পাওয়া বেসরকারি কলেজগুলিতে অফলাইনে ভর্তি হওয়া আরও প্রায় ৩০ হাজার (বেসরকারি মতে) ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা দেওয়া আর হচ্ছে না। যদিও, এ নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ওয়েস্ট বেঙ্গল এডুকেশন ফোরাম। ছাত্রদের বৈধতা দেওয়ার দাবিতে তারা ৮ জানুয়ারি দিল্লির যন্তরমন্তরে বিক্ষোভ দেখাবে।