আজ কী ঘটেছিল?

পি সি সরকার (সিনিয়র)(১৯১৩-১৯৭১) এদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পুরো নাম প্রতুলচন্দ্র সরকার। বিশ্ববিখ্যাত জাদুকর। কলকাতার ইম্পেরিয়ল রেস্তোরাঁয় সপার্ষদ হাজির হয়েছেন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী ফজলুল হক। অবশ্য তখন মুখ্যমন্ত্রী পদটিকেই অভিহিত করা হত প্রধানমন্ত্রী বলে। সেখানেই হাজির হয়েছেন পি সি সরকার সিনিয়র। হক সাহেবকে নিজের ‘ম্যাজিক’ দেখাবেন। রাজিও হলেন তিনি। জাদুকরের কথামতো, সাধারণ একটা কাগজের টুকরোয় কিছু লিখলেন। সইও করলেন। বাকি মন্ত্রীরা যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরাও তার তলায় সই করলেন। ঠিক তারপরই, চিচিং ফাঁক! জাদুকরের মন্ত্রবলে সেই সামান্য কাগজ হয়ে গেল পদত্যাগপত্র! ফজলুল হক প্রধানমন্ত্রিত্ব হারালেন, আর সেই মুহূর্তের জন্য সিংহাসনে বসলেন সেই বাঙালি জাদুকর, পি সি সরকার সিনিয়র। ৯ এপ্রিল, ১৯৫৬। বিবিসি লন্ডন থেকে সম্প্রচারিত হল ১৫ মিনিটের ম্যাজিক শো। এক তরুণীকে কাটা হয়ে গেল বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে। জোড়া লাগানোর সময় জাদুকরের আন্তরিক চেষ্টাতেও তরুণী বেঁচে উঠলেন না। পি সি সরকার চোখে-মুখে এমন হাব-ভাব ফোটালেন যেন বিরাট দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। তরুণী আর প্রাণ ফিরে পেল না। সময় শেষ। এবার নতুন টেলিকাস্ট শুরু হয়ে গেল। অনুষ্ঠানের প্রযোজক ভীষণ চটে গেলেন জাদুসম্রাটের ওপর। জাদুসম্রাটও এমন ভাব দেখালেন যেন খুবই অপরাধ করে ফেলেছেন। কিছুক্ষণ বাদে আসল নাটক শুরু হল গোটা লন্ডন শহর এবং শহরতলি জুড়ে। এক পাকা জাদুশিল্পী খেলা দেখাতে গিয়ে প্রাণ কেড়ে নিলেন সহকারিণীর! হুমড়ি খেয়ে পড়লেন সাংবাদিকেরা ব্রডকাস্টিং সেন্টারে। ঘনঘন টেলিফোন। সংবাদপত্রের অফিসে ফোন এল এত বেশি যে লন্ডন শহরে দু’ঘণ্টার জন্য টেলিফোন লাইন অচল হয়ে গিয়েছিল। পরের দিন ১৯৫৬ সালের ১০ এপ্রিল তারিখে লন্ডনের সমস্ত খবরের কাগজে বড় বড় করে প্রথম পাতায় বেরোল ‘চিন্তা করবেন না মেয়েটা সুস্থ আছে। পুরোটাই জাদুসম্রাট পি সি সরকারের জাদুর চালাকি।’ পি সি সরকার সিনিয়র জাদুবিদ্যায় কল্পনা, উদ্ভাবনীর ক্ষমতা, প্রদর্শনভঙ্গি, পরিবেশনের মূর্ছনা, জাঁক-জমকপূর্ণ পোশাক, থিয়েটারের কায়দায় দৃশ্যপট, স্বদেশি কায়দায় বাজনা-সহ অভিনয়ে দক্ষ সুন্দর-সুন্দরী সহকারী-সহকারিণীর সঙ্গে আল্ট্রাভায়োলেট আলোর ব্যবহার করতেন। তিনিই প্রথম এসবের প্রবর্তক।

২০২১ আমেরিকার আইনসভা কংগ্রেসের ক্যাপিটল ভবন এদিন কার্যত কয়েক ঘণ্টা দখল করে রাখে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা। কংগ্রেসের অধিবেশন চলাকালীন ক্যাপিটল ভবনে তারা ঢুকে পড়লে কিছুক্ষণ অধিবেশন বন্ধ থাকে। পরে ভবন থেকে বিক্ষোভকারীদের বের করে দিয়ে আবারও শুরু হয় অধিবেশন। এই ঘটনায় চারজন মারা যায়, গ্রেফতার হয় জনা পঞ্চাশেক ব্যক্তি। এদিন ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং সেনেটের বৈঠক চলছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের চূড়ান্ত সিলমোহরের বিষয়টি নিয়ে। তখনই ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনার পরই গোটা ক্যাপিটল বিল্ডিং চত্বর নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়।

২০০১ জর্জ বুশকে এদিন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হিসেবে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিল মার্কিন কংগ্রেস। আইনি লড়াইয়ের শেষে এল এই স্বীকৃতি। ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী আল গোরে ২০০০-এর নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে এই মামলা করেছিলেন।

১৯৮০ দিলীপকুমার রায় (১৮৯৭-১৯৮০) এদিন প্রয়াত হন। জন্মও এই মাসেই, ২২ জানুয়ারি, ১৮৯৭। সঙ্গীতজ্ঞ, সঙ্গীত আলোচক, গীতরচয়িতা, সুরকার ও গায়ক। বাবা বিখ্যাত নাট্যকার ও গীতিকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়। দিলীপকুমার আত্মপরিচয়ে লিখেছিলেন— ‘‘প্রেম আমার সাধন জানি,/ আমার জীবন মানি/ বন্ধনে মণিমুক্তো তারা প্রেম/ বিরহে প্রেম উদ্দীপন, মিলনে প্রেম উন্মাদন।’’ পুণেয় হরেকৃষ্ণ মন্দিরে তাঁর সমাধিবেদিতে উৎকীর্ণ এই পঙ্‌ক্তি।

২০২১ আমেরিকার অন্যতম প্রধান সরকারি কার্যালয় তথা আমেরিকান কংগ্রেসের সদর দফতর ক্যাপিটলে এদিন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের আনুষ্ঠানিক জয় ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু পরাজিত রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী তথা বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফলপ্রকাশের পর থেকেই ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন। অভিযোগ, নির্বাচনের ফল ঘোরাতে সেদিন হিংসা ছড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন মরিয়া ট্রাম্প। রিপাবলিকান সমর্থকদের উসকে দিয়ে অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা ছিল তাঁর। সেই উদ্দেশ্যে নির্বাচনে কারচুপির জিগির তুলে সমর্থকদের উত্তেজিত করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হন।